আত্মঘাতি স্যালো বা ড্রেজার মেশিন দিয়ে মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বহাল তবিয়তে মাটি বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। পাশাপাশি আবার চলছে কৃষি জমি ভরাট করে জমজমাট পোলাটিং ব্যবসা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবৎ দেদারচ্ছে এ ব্যবসা চালিয়ে আসলেও যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে ঘুরে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় সরকারী ভাবে কোন বালু মহল নেই। তারপরও স্থানীয় ইউনুসের ঘের থেকে আমান ও অমিত নিজেদের ইচ্ছামত এ মাটি ও বালু উত্তোলন করছে। পোলাটিং ব্যবসার ফলে কৃষি জমির পরিমানও দিনদিন কমে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। অধিক লাভের আশায় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও জড়িয়ে পড়েছে এই ব্যবসায়। প্রতি ফুট পাঁচ থেকে আট টাকা দরে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ব্যবসায়ীরা। কোন কোন স্থানে আবার রাস্তার উপর ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে পাইপ বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা ছোট এই উপজেলা এক প্রকার বালুর উপর ভেসে আছে। এই বালু উত্তোলন ড্রেজার জনপদ বিধ্বংসি আত্মঘাতি। আত্মঘাতি স্যালো ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে যে কোন মুহুর্তে ক্ষতি হতে পারে ব্রীজ, গ্রামিন রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনার। এমনিতেই প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘর, ফসলী জমিসহ বেড়িবাঁধ বিলিন হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্যও মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়ছে। এভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করে ব্যবসা চালিয়ে আসলে অচিরেই এই উপজেলা দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। এমনকি মাটির নিচের স্তর ফাঁকা হয়ে সামান্য ভূমিকম্পেও প্রাণের এই জনপদ ধ্বংস হতে পারে বলে আশংঙ্কা করছেন তিনি। প্রশাসন মাঝে মধ্যে দুই একজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করলেও এবং সভা সমাবেশে আলোচনা সমালোচনা হলেও কখনো থেমে নেই বালু উত্তোলন। অতি দ্রুত এসব কতিপয় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ী ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন স্থানীয়রা। এবিষয়ে স্থানিয় ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, নিউজ করতে হবে না, আমি ইউনুসের সাথে কথা বলছি। চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জানি এইটা অবৈধ, অবৈধর কারণে আমরা যাইওনা, যার যার মতো তারা এসব করে,আমরা এসব জানিও না, এসবের মধ্যে আমরা যাইওনা, কিন্তু এখনতো অহোরহো চলছে কার বিরুদ্ধে কি করবো কন, এহন জমির মালিক অথবা স্থানিয়রা যদি ইউএন এর কাছে অভিযোগ দেয় তাহলে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন কোথায় কোথায় বালি উত্তোলন হচ্ছে এবং কারা করছে সঠিক ভাবে খোঁজ খবর পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।