বর্তমান যুগে প্রায় সকলেই যার যার কাজে ব্যস্ত থাকি আমরা। অনেকে নানা রকম দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিজের দিকে নজর দিতেই ভুলে যান। অনেকেই সারাক্ষণ থাকেন মানসিক চাপে। এসব কারণে কখনো মনে হয়, যদি মুক্ত বাতাসে উড়ে বেড়াতে পারতাম। যদি জীবনটা এমন হতো যে, ঘরে ফেরার তারা নাই। কিন্তু আসল কথা হলো- আমরা চাইলেই সবকিছু সম্ভব না। সবশেষে বাস্তবতা মেনে নিতেই হয়। তবে হ্যা, সাধ্যের মধ্যেই আমরা চেষ্টা করতে পারি ভালো থাকার। এ প্রসঙ্গ তুলতেই চলে আসে ভ্রমণের কথা। ভ্রমণ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার অনন্য এক উপায় হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ছুটি না নিয়ে একঘুঁয়ে জীবন কাটান এবং ভ্রমণ করেন না তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩২ গুণ বেশি। তাই বছরে অন্তত দুবার দৈনন্দিন জীবনের চাপ থেকে নিজেকে ছুটি দিন, ভ্রমণ করুন। আপনার মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমে যাবে।
গবেষণা বলে, এমনকি আপনি যদি একাগ্র মনে এটাও চিন্তা করেন যে, কোথায় ভ্রমণ করতে যাবেন এবং সেখানে আপনি কি কি করবেন সেইসব শুভ চিন্তা আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ, নিদ্রাহীনতা আর দুশ্চিন্তা থেকে অনেকাংশে মুক্তি দিতে পারে। ভ্রমণ হচ্ছে শুধু একটি ছোট উপায় সবকিছু ছেড়ে হঠাৎ বেরিয়ে যাওয়ার। নিত্যনৈমিত্তিক জীবনযাপনের কাছ থেকে তো ছুটি নেয়ার কোনো উপায়-ই নেই, তাই ছুটির দিনগুলো আপনাকে সেই অনুভূতিটা দিতে পারে। দিনটি উপভোগ করতে পারেন প্রকৃতির সঙ্গে নিজের মতো করে। এতে দীর্ঘ দিনের মানসিক চাপ থেকে কিছুটা হলেই মুক্ত থাকা যায়।
এছাড়াও ভ্রমণে গেলে আপনি পাবেন প্রচুর পরিমাণ মুক্ত বাতাস আর সূর্যালোক। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। মুক্ত বাতাস আপনার রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াবে। ফলে আপনি পাবেন প্রচুর পরিমাণ জীবনীশক্তি। আর সূর্যালোককে তো বলা হয় মানসিক অবস্থার নির্ধারক। প্রচুর পরিমাণ সূর্যালোক আপনাকে হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে। এক গবেষণা মতে, যে সকল নারী কোথাও ভ্রমণ করেন না তাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা যারা ভ্রমণ করতে যান তাদের চাইতে ৮ গুণ বেশি। আর পুরুষের ক্ষেত্রে এই শর্তটি হচ্ছে- যারা ভ্রমণ করেন তাদের তুলনায় যারা ভ্রমণ করেন না তাদের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩২ গুণ বেশি।