১২ ফেব্রুয়ারী শনিবার পাহাড়পুর মহল্লায় দিনাজপুরের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর আয়োজনে ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হওয়াতে দিনাজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হায়াত মোঃ কুদরতে খোদা সহ ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ দিনাজপুর জেলা কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুদ্দিন আখতারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আবু হায়াত মোঃ কুদরতে খোদা, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ উদ্দীন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. শেখ আব্দুল বাতেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কক্সবাজার হতে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোজাফ্ফর আহম্মেদ, রংপুর জেলা কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, দিনাজপুর কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রভাষক সর্দার মোঃ গোলাম সারওয়ার তুহিন। আলোচনা ও সংবর্ধনা প্রদানের পূর্বে ফুলের তোরা ও ক্রেস্ট দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হায়াত কুদরতে খোদা সহ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করেন এলাকাবীসীর পক্ষে শাহীন খান, কোরবান আলী সোহেল, শাহ্ মাসুদ কবির শাহ্, শরিফ ইসলাম বিপ্লব। মসজিদ কমিটির পক্ষে সংবর্ধনা প্রদান করেন মীর আলাউদ্দীন গুড্ডি এবং আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষে আবুল কালাম বাবুল, মোঃ সেলিম, খরশিদ আলম, আলহাজ্ব শফিকুল আলম ও সদরুল বারী। সংবর্ধনা প্রদান করতে গিয়ে এলাকাবাসী মোঃ শাহীন খান, কোরবান আলী সোহেল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হায়াত মোঃ কুদরতে খোদা দিনাজপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের অহংকার এবং গর্ব। এবার একজন ভালো মুক্তিযোদ্ধার সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন হবে না। স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মাঝে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সকলেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল বলেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বর্তমানে কিছু কিছু স্বার্থন্বেসী মানুষ আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। এব্যাপারে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক ও স্বোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।