বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেহেতু দেরিতে শুরু হলো বইমেলাটা, একমাস করা যেতে পারে। অনেকে অনুরোধ করেছেন মেলার সময় বাড়িয়ে দেওয়া যায় কিনা। আমার মনে হয়, এক মাস চলতে পারে। বাকিটা আপনারা দেখবেন কতটা করতে পারেন।’ বইমেলা শুধু বইমেলা না, এটা মিলন মেলা। করোনার কারণে আমি ঘরবন্দি। ভাগ্যিস ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম। যারা বইমেলায় আসবেন তারা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি স্মরণে রাখবেন।’ অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উদ্বোধন ঘোষণাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলে। তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এবারের বইমেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রান্তে সংক্ষিপ্ত একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে এবারের বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি মহকুমায় আগে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। এখন আর সেটা দেখা যাচ্ছে না। এটি করা দরকার।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা আমরা করে দিয়েছি। এখন হৃদয়ের খোরাক জোগাতে হবে। এটা সাহিত্য-সংস্কৃতির মাধ্যমে হবে। এ জন্য মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জেলায় জেলায় করা উপযুক্ত হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
এসময় মেলা মাসব্যাপী হতে পারে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এবার তো আমরা মেলা দেরিতে শুরু করেছি। আমার মনে হয়, এটা পুরো মাসই চালাতে পারি। যেহেতু প্রকাশকদের কাছ থেকে দাবি এসেছে, জাতির পিতার জন্মতারিখ ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা চালানোর। আমার মত, এটা আমরা মার্চ মাস পর্যন্ত চালাতে পারি। বাকিটা আপনাদের সিদ্ধান্ত।
মেলায় যাওয়ার স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগে মেলায় যেতাম। এখন তো আর পারি না। যখনই প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছি। তখনই পায়ে শিকল পড়লো। নিরাপত্তার অজুহাতে আর যাওয়া হয় না। বিরোধী দলে থাকতেও যেতাম। তিনি বলেন, করোনা গৃহবন্দী করে ফেলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি বলে আজ ভার্চুয়াল হলেও সংযুক্ত হতে পেরেছি। এসময় বাংলাভাষার অভিন্ন ফ্রন্ট চালুর বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলে টিকা নেবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। এতে অন্তত নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘এবছর বইমেলা দেরিতে শুরু করতে হলো। প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিল। যেকারণে দেরি করে শুরু করতে হলো। আজকে ১৫ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন করতে পারছি সেটাই বড় কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, কবিতায় আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ; কথাসাহিত্যে ঝর্না রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ/গবেষণায় হোসেনউদ্দীন হোসেন, অনুবাদে আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, নাটকে সাধনা আহমেদ, শিশুসাহিত্যে রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশবিজ্ঞানে শুভাগত চৌধুরী, আরও পুরস্কার পেয়েছেন আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে সুফিয়া খাতুন ও হায়দার আকবর খান রনো এবং ফোকলোরে পুরস্কার পেয়েছেন আমিনুর রহমান সুলতান।
কোস্ট গার্ডকে আরো সক্ষম ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে সক্ষম এমন একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে তুলতে আমরা কোস্ট গার্ডকে একটি আধুনিক ও যুগপোযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ার লক্ষে কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দফতরে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিজস্ব জনবল নিয়োগ কার্যক্রম এবং ফোর্স পুনর্গঠনের মাধ্যমে এ বাহিনীর সক্ষমতা অর্জনে আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্লু-ইকোনমি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এ বাহিনীর রূপকল্প-২০৩০ ও ২০৪১ অনুযায়ী জাহাজ, সরঞ্জামাদি ও জনবল আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’
দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে আরো বিকশিত করার জন্য তাঁর সরকারের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একাটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী ভাষণে উল্লেখ করেন।
সরকার প্রধান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ড্রাইডক এবং চট্টগ্রাম ড্রাইডক সেটাও আমরা নৌবাহিনীর হাতে সমর্পণ করেছি। ভবিষ্যতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি শিপইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের আছে। আশা করছি, আমরা তা করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা জায়গা পছন্দ করে রেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের পরামর্শে অলাভজনক উল্লেখ করে খুলনা শিপইয়ার্ড ও বিএনপি সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর এই শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে অর্পণ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু আমাদের নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে, তাই আমরা পরমুখী হয়ে থাকবো কেন। তা ছাড়া ঐতিহাসিক কাল থেকেই বাংলাদেশে জাহাজ শিল্প নির্মাণ এবং রফতানি বাণিজ্য ছিল। তাই সেটাকে আমরা আবারো কার্যকর করি। যার ফলে আমরা শুধু বিদেশ থেকে কিনে না এনে নিজেরাও তৈরি করার সক্ষমতা অর্জন করেছি এবং ভবিষ্যতে আরো করবো।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে কোস্ট গার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারের ৭৭টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এবং খুলনা শিপইয়ার্ডে কোস্ট গার্ডের জন্য দু’টি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল, একটি ফ্লোটিং ক্রেন, দু’টি টাগ বোট এবং ১৬টি বোট তৈরি করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের ভেসেল ও জাহাজসমুহ নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণর জন্য গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ডও নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজস্ব ইয়ার্ডে জাহাজ তৈরির সক্ষমতা আমাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
গত বছর একইসঙ্গে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ৯টি জাহাজ এবং একটি ঘাঁটি কমিশনিং করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নৌযানগুলো যুক্ত হওয়ায় সংস্থাটির জন্য একটি নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। এ ছাড়াও, কোস্ট গার্ডের গভীর সমুদ্রে টহল উপযোগী আরও ৪টি ওপিভি এবং ৯টি প্রতিস্থাপক জাহাজের নির্মাণেরও অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে খুব শিগগির এ বাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, হোভ্যারক্র্যাফট ও দ্রুত গতি সম্পন্ন বোট। এ ছাড়াও, গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড-এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এ সকল জাহাজের সংযোজন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোস্ট গাড অধিকতর সক্ষমতা অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চার কোস্ট গার্ড সদস্যকে তাদের সাহসিকতা ও বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পদক তুলে দেন। পরে, কোস্ট গার্ডের কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী কোস্ট গার্ড সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন এবং তাঁকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজের ক্ষেত্রে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ‘বে অব বেঙ্গল’। তাই এর যথাযথ নিরাপত্তা বিধান জরুরি এবং আমরা তা যথাযথভাবে করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা এবং সামুদ্রিক জলসীমার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, দেশের সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান ও মাদক বিরোধী অভিযান, ডাকাত দমনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় জনগণের জানমাল রক্ষায় কোস্ট গার্ডের ভূমিকা উত্তরোত্তর বাড়ছে। জাটকা নিধন রোধে এবং মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
এ সময় উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য কোস্ট গার্ডকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সরকার প্রধান কোস্ট গার্ড সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবসময় দেশপ্রেম, সততা ও ঈমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে কোস্ট গার্ডের সুনাম ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। দেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আমি আশা করি। শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনীর ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং আপনাদের সার্বিক কল্যাণে প্রয়োজনে যা যা করার দরকার অবশ্যই আমাদের সরকার সব করে যাবে। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দল হিসেবে মহান জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আনীত বিলের কারণেই কোস্ট গার্ড একটি বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র এবং সমুদ্র সম্পদের ওপর দেশের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে যে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট’ প্রণয়ন করেন, সে অনুযায়ী দ’ুটি বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেও তাঁর সরকার দেশের সমুদ্রসীমা নির্দিষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি জাতিসংঘও এই আইন পাশ করেছিল ১৯৮২ সালে। কাজেই এর আগে বিশে^র বিভিন্ন দেশে সমুদ্র সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যাবলী এই ’৭৪ সালের আইন অনুযায়ীই সমাধান করা হতো। যদিও ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল জিয়া, এরশাদ বা খালেদা জিয়া-তারা কেউই এ দেশের সমুদ্র সীমা সমস্যার সমাধানে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
উপকূলীয় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের স্টেশন ও আউটপোস্টসমূহে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, বেইসসমূহের কর্মকর্তা ও নাবিকদের বাসস্থান, অফিসার্স মেস, নাবিক নিবাস ও প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর সুনাম বৃদ্ধিতে পটুয়াখালী অঞ্চলে নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইস ‘বিসিজি বেইস অগ্রযাত্রা’ প্রতিষ্ঠারও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।