সদ্য বিদায়ী কেএম নূরুল হুদা কমিশনের অর্জন বলে শেষ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘সদ্য বিদায়ী কমিশন নির্বাচনের যে চমৎকার চমৎকার মডেল আবিষ্কার করেছে তা তো প্রশংসারই দাবিদার। দিনের ভোট রাতে, ইভিএমে চুরি, নিয়োগ বাণিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হুদা কমিশনেরই সফলতা।’ গতকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খা হলে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘নূরুল হুদা সাহেব যাওয়ার সময় বলেছেন, তার কোনো ব্যর্থতা নেই। তিনি সত্যিই বলেছেন! জনগণ আপনার এসব কথায় কোনো তোয়াক্কা করে না। আপনারা যে ব্যর্থতা রেখে গেছেন, জনগণের আদালতেই তার বিচার হবে। এ কমিশন উদাহরণ রেখেছে, কীভাবে একটি সাংবিধানিক পদে থেকে প্রধানমন্ত্রীর কথার গোলাম হওয়া যায়। তার যে ব্যর্থতা নেই সেটা তো তিনি প্রমাণই করেছেন। এজন্য পুরস্কার হিসেবে পটুয়াখালীতে নিজের ভাগিনাকে এমপি বানিয়েছেন।’
নতুন এ সার্চ কমিটি হুদার মতোই একজন খুঁজে বের করবে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘আমরা সার্চ কমিটিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রস্তাবিত তালিকা প্রত্যাখ্যান করলাম। সার্চ কমিটির কাজ কিছু শিক্ষিত বুঝদার মানুষ থেকে বাছাই করে নেওয়া। এখন দেখা যাচ্ছে, সেখানে নাম দিতে মিছিল করতে করতে যাচ্ছে মানুষ।’
বিদেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসার ব্যাপারে রিজভী বলেন, মনে হয়েছিল র্যাবের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞার কারণে গুম-খুন হয়তো কমেছে। কিন্তু তা কমেনি, কমবেও না। যাদের অন্তর নষ্ট হয়ে গেছে, তারা কোনোভাবেই সংশোধন হবে না। তারা চাইলেই মানুষকে মেরে ফেলতে পারে, কেউ কিছুই করতে পারবে না তাদের। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে খুলনার গোলাম মোস্তফা তুহিন ও বরগুনার ইমরানকে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাহলে কোথায় গুম-খুন কমলো। রিজভী বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যার কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি সরকার। অথচ দেশের কোথাও কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলুক, মিছিল করুক, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে ধরে আনবে। আলোচনাসভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। এছাড়া দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।