কর্ম এলাকার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলে,মেয়েদের নিয়ে দলভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে শুভ, সুন্দর ও সামাজিক কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং আদর্শ শিক্ষায় জীবন গঠনে উন্নয়ন সংঘ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর আওতায় ব্যতিক্রমধর্মী কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার জামালপুর পৌরসভাধীন বামুনপাড়ায় ২০জন কিশোর, কিশোরীদের নিয়ে ২ ঘন্টাব্যপী বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয়। সেশন পরিচালনা করেন উন্নয়ন সংঘের স্বেচ্ছাসেবক রাশেদা বেগম। বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিংগস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এন্টনি বারিকদার ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। সেশন পরিচালনায় সহায়তা করেন সিএফ বিদ্যুৎ হোসেন।আলোচনাসূত্রে জানা যায় নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করা, আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, মানুষের প্রতি শ্রেণি মতো সম্মান প্রদর্শন করা, পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও বিনোদন কাজে অংশ নেয়া ও চর্চা করা, নিয়মিত বিদ্যালয়ে গমন ও পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা, সামর্থ অনুযায়ী পরিবারের কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখাসহ যা কিছু সুন্দর ও কল্যাণময় সেসব কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সেশনগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।উল্লেখ এলাকার প্রথম পর্যায়ে তিনশ’ ছেলে,মেয়েদের নিয়ে ১৭টি বিভিন্ন ইস্যুতে সেশন নেয়া হবে। পরে কার্যক্রম হাতে নেয়ার জন্য কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। উন্নয়ন সংঘ সূত্র জানায় সঠিকভাবে সেশনগুলো পরিচালনা করা হলে এসব শিশু কিশোররা আদর্শ মানুষ হবার পথে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। এদের কার্যক্রমে পরিবার ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ধীরে ধীরে সমাজে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অপরাধমুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে।প্রকাশ, শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।সূত্র জানায় উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষিরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নং ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।