মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে পাঠদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২২ ফেব্রুয়ারির পর আরো ১০ থেকে ১৪ দিন সময় নেয়া হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বুধবার রাতে পরামর্শ দেয় করোনাবিষয়ক জাতীয় কমিটি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত রাতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে জাতীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম পরামর্শের বিষয়টি জানান।
নজরুল বলেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সুপারিশ করা হয়েছে, তবে বাচ্চাদের নয়। যাদের বয়স ১২ বছরের ওপরে এবং যারা করোনা প্রতিরোধে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও সরকারের দেয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে। নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হবে না। করোনার সংক্রমণ রোধে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নতুন করে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তাতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে আরো দুই সপ্তাহ এ নির্দেশনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দেশে প্রথমবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালু হয়।