মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছগুলো। আমের শাখায় শাখায় বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই মুকুলদল। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে সোনালি রঙের মুকুলগুলো। পটুয়াখালীর দশমিনায় এখন সর্বত্র এমন দৃশ্য। শুক্র ও শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।
তবে চাষীরা জানাচ্ছেন, আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
এদিকে, মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। বাগানে বাগানে আম্রপালি, ল্যাংড়া ও ফজলি আমের ঘ্রাণ আর ঘ্রাণ। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরো কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে জানান বাগান মালিকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, উপজেলায় ৮-১০টি আমের বাগান আর সাত ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জে বাড়িতে বাড়িতে রয়েছে স্বাভাবিক আম গাছ। সব গাছই ভরে গেছে মুকুলে। আর চাষীদের আগ্রহের কারণে এ উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে আমের বাণিজ্যিক চাষ। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের বাগান মালিক কাজী সরোয়ার হোসেন ও কাজী আনিচুর রহমান জানান, আম বাগানে সারি সারি আম গাছে মুকুলে ছেয়ে গেছে। তারা আরো জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়োমিত স্প্রে করা হচ্ছে। আরেক চাষী উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের বাগান মালিকরা সুলতান সরদার জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ জানান, বাগানের গাছে গাছে আমের মুকুলে ভরে গেছে। তবে কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ভালো ফলন হবে। তিনি আরো বলেন, আমের মুকুল রক্ষায় পোকা দমনে বালইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।