রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

মাঝ আকাশে বিভ্রাটে মমতার বিমান, তদন্তে চিঠি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২

মাঝ আকাশে এয়ার টার্ব্যুলেন্সে পড়ল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার পথে মাঝ আকাশে ঝটকা খায় মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। এতে সাময়িকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তার বিশেষ কোনো ক্ষতি হয়নি। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের কারণ জানতে ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’-কে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। মমতার দল তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ২.২৭ মিনিটে বারাণসীর বিমানবন্দর থেকে ওড়ে রাজ্য সরকারের ভাড়া নেয়া বিশেষ বিমান। ১০ আসনের দাস ফ্যালকন বিমানটি কলকাতার কাছাকাছি পৌঁছতেই মাঝ আকাশে ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে। যার জেরে দ্রুত কমতে থাকে বিমানের উচ্চতা। এতে সাময়িক আতঙ্ক ছড়ায় বিমানের মধ্যে। যদিও পরিস্থিতি সামলে নেন পাইলটরা। নিরাপদেই অবতরণ করে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান।
কলকাতা বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাঝ আকাশে এয়ার টার্ব্যুলেন্সে পড়েছিল বিমানটি। অপেক্ষাকৃত ছোট বিমান হওয়ায় ঝটকা বেশি অনুভূত হয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনা বিমানযাত্রায় বিরল নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাটের কারণ জানতে ‘এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া’-কে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবার বিমান বিভ্রাটে কোমড়ে চোট পান মমতা। এর পরে শনিবারই ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হলো মুখ্যমন্ত্রীর দফতর- নবান্নের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন, সেখানে আসলে কী ঘটেছিল? আরো জানতে চাওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যখন বারাণসী থেকে রাজ্য সরকারের ভাড়া করা বিমানে ফিরছিলেন, তখন তা ‘এয়ার-পকেট’-এ পড়েছিল কিনা?
জানা গেছে, শুধু এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে চিঠি দিয়েই থেমে থাকবে না রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিমান বিভ্রাট নিয়ে কথা বলেছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সাথেও। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ, শুক্রবার কলকাতার আকাশ যথেষ্ট পরিষ্কার ছিল। মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় কোনোটাই ছিল না। তা সত্ত্বেও বিমানটি আচমকা একটি ঝঞ্ঝার মুখোমুখি হয়। ফলে পাইলট অত্যন্ত দ্রুততায় উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট নামিয়ে আনেন। ফলে প্রবল ঝাঁকুনি ও উথালপাথাল হলো বিমানে।
বিমানের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও তার সহযাত্রীরা অবশ্য জানতে পেরেছিলেন, তাদের বিমানের সামনে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়েছিল। সেটিই হলো বিপত্তির কারণ। কিন্তু নবান্নের শীর্ষ কর্মকর্তারা এমন উত্তরে সন্তুষ্ট নন। তারা চান ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ ও অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট জবাব। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে এখনো ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ বা অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভাড়া করা ‘ফ্যালকন’ বিমানে ইদানীং প্রয়োজনে যাতায়াত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন যে বিমানটিতে তিনি চড়েছিলেন, নির্দিষ্টভাবে সেই বিমানটিতে তিনি এর আগে সফর করেননি। ঘটনাচক্রে বিমানের দুই পাইলট ছিলেন বাবা ও মেয়ে। দুর্যোগ কাটার মিনিট চারেক পরে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি কলকাতার মাটি ছোঁয়। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com