শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

ঘোড়াঘাটে বরই চাষে সফল সাব্বির হোসেন ও দুলু মিয়া

রাফছানজানী শুভ ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কাশ্মীরি কুল ও সুন্দরী কুল,বল সুন্দরী চাষে সফল সাব্বির হোসেন ও দুলু মিয়া। দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রং আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, এর আগে আপেল কুল চাষ হলেও নতুন জাত কাশ্মীরি কুল ,বল সুন্দরী বরইয়ের চাষ ঘোড়াঘাটে প্রথম।প্রচলিত আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এই কাশ্মীরি কুল ও সুন্দরী কুল। নতুন এ জাতের বড়ই চাষ করে সফল হয়েছেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার শহর গাছি গ্রামের ফল চাষি সাব্বির হোসেন ও কাদিমনগড় গ্রামের দুলু মিয়া। সরেজমিনে ফল বাগানে গিয়ে দেখা যায়,মাটির সামান্য ওপর থেকেই সব কুল গাছের ডালপালা চারদিকে ছরিয়ে পরেছে।প্রতিটি ডালেপ্রচুর পরিমাণে কুল বরই ধরে মাটিতে নুয়ে পড়েছে, গাছের পাতার চেয়ে বরই বেশি। ফল চাষি সাব্বির হোসেন জানান, গত বছরে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৩৫০ টি চারা কিনে এনে চারা গুলো দুই বিঘা তিন শতক জমিতে রোপন করেন। মাত্র নয় মাস পর ফল এসেছে। একেকটি গাছে বাম্পার ফল হয়েছে বলে জানান এই তরুন ফল চাষী। নতুন জাতের কাশ্মীরি কুলের পাশাপাশি সুন্দরীকুল চাষ করেছেন। ফল চাষী দুলু মিয়া জানায়, ধান, ভুট্টা চাষে তেমন লাভ না পাওয়ায় আমি বরই চাষ শুরু করেছি। ভিন্ন এ জাতের কুল চারা রোপন, চারপাশে ঘেরা ও পরিচর্যা দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে তার। এক লক্ষ টাকার কুল বরই বিক্রি করেছেন আরও প্রায় কমপক্ষে তিন লাক্ষ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবেন বলে মনে করেন। এই কুল বাগান থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাছ হোসেন সরকার বলেন, এ অঞ্চলে তিন হেক্টর জমিতে প্রায় দশ-বারোটি বরই বাগান গড়ে উঠেছে। বাগানে যে কোন সমস্যায় তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে এবং ভালো দামে ফলন বিক্রি করছেন ফল চাষিরা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com