দিনাজপুরের হিলিতে সবুজ ও হালকা লাল পাতার মুখে উঁকি দিয়ে বেড় হচ্ছে লিচুর মুকুল। মৌমাছিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মধু সংগ্রহে। গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানের গাছে থোকায় থোকায় দুলছে লিচুর এ সোনালি মুকুল। শনিবার (১২ মার্চ) হিলির বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তা-ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, বাগান সহ বসতবাড়ি রাস্তার লিচু গাছগুলো যেন মুকুলের সমাহার। দেখে যেন মনে হয় মেয়েদের সোনারাঙা নাকফুলের মতো। সেই মুকুল আবার সুবাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বাতাসে। প্রতিটি লিচু গাছে ভরে গেছে ফুলে ফুলে। এই উপজেলার প্রতিটি গ্রাম যেন লিচুর রাজ্যে পরিণত হতে যাচ্ছে। যে দিকে তাকাই সেদিকে গাছে গাছে শুধু দৃশ্যমান লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। চলছে ঋতুরাজ বসন্তকাল, প্রকৃতি সেজেছে আপন মনে। ফাগুনের ছোঁয়ায় ফুটেছে পলাশ শিমুল ফুল, বন-জঙ্গলে লেগেছে আগুন রাঙা ফুলের মেলা। রঙিন বনফুলে সমারোহ প্রকৃতি যেন সেজেছে বর্ণিল সাজে। মুকুলের সুবাস আরও জানিয়ে দিচ্ছে বসন্তের আগমন। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। হিলির নয়ানগর গ্রামের লিচু বাগান মালিক রেজাউল করিম বলেন, তিন বিঘাতে আমার এই লিচু বাগান। প্রতি বছর আমার বাগান থেকে অনেক লিচুর ফলন পেয়ে থাকি। আমার বাগানে চায়না থ্রী ও বোম্বে জাতের লিচুর গাছ আছে। প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত মুকুল ধরেছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্প্রে ব্যবহার শুরু করেছি। আশা করছি গত বছরের চেয়ে এবারের লিচুর বাম্পার ফলন পাবো। হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, এবারে উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হচ্ছে, এতে প্রায় ৮৯ টি বাগান হয়েছে। এছাড়াও বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট সহ বিভিন্ন স্থানে লিচুর গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর লিচুর মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রতিটি গাছে লিচুর প্রচুর ফলন আসবে। আমরা প্রতিটি লিচু বাগান মালিককে ও গাছয়ালাদের বিভিন্ন ভাবে সেবা দিয়ে আসছি।