চোখের নীরব ঘাতক বা সাইলেন্ট কিলার গ্লুকোমার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্ঠির লক্ষ্যে লোহাগাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ মার্চ সকালে উপজেলা বিআরডিবির হল রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবীব জিতু। লোহাগাড়া উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান, লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতাল, লোহাগাড়া ডায়বেটিস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজকল্যাণ পরিষদের সদস্য সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেলের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্হিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ। মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে রাখেন লোহাগাড়া ডায়াবেটিস হাসপাতালের ডায়াবেটিক চিকিৎসক ডাঃ সালেক আহমদ মুন্না এবং লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু রোগের চিকিৎসক ডাঃ এ এইচ এম মঈনুদ্দিন। মতবিনিময় সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে লোহাগাড়ার ফিল্ড সুপার-ভাইজার মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ, মডেল অফিসার মুহাম্মদ রাশেদুল হক, লোহাগাড়া উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব ও ফয়েজ শফি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুল গফুর। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দেশের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ মানুষ গ্লুকোমা রোগ সম্পর্কে জানেননা। গ্লুকোমা রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। এটি নিরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লুকোমাকে নিরব ঘাতক বা ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। তাই প্রত্যেকের উচিত নিয়মিত চোখের প্রেসার, দৃষ্টিশক্তির পরিসীমা পরিমাপ, অপটিক নার্ভ, রেটিনা ও কর্নিয়ার পুরুত্ব মাপা এবং ইউবিএম পরীক্ষা করা। মতবিনিময় সভায় লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকার ওলামাগণ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্হিত ছিলেন। মতবিনিময় সভা শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন লোহাগাড়া উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল গফুর।