জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফ্রি-তে বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের অপারেশনসহ অন্যান্য রোগীর মান সম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে রোগীরদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণে ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যায় উন্নতি করণের দাবী করেছে সুশীল সমাজসহ এলাকাবাসী। ডাঃ সোলাইমান হোসেন মেহেদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সরকারী এই হাসপাতালটিকে ভঙ্গুর অবস্থা থেকে দেশের শীর্ষ স্থানের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয় জরীপে দেশের ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করলেও ফেব্রুয়ারী মাসের জরীপে একক ভাবে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। তিঁনি এসেই রোগীদের সু-চিকিৎসায় হাসপাতালটি আধুনিকায়নে জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার, ডায়েবেটিস ওয়ার্ড, প্যাথোলজি এক্স-রে মেশিন চালু করাসহ সব ধরণের অপারেশন নিজে উপস্থিত থেকে করেন। চালু করেন গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলেভারী কার্যক্রম। হাসপাতালের পুরাতন স্টীলের বেড গুলো সড়িয়ে নতুন করে ২০ টি আইসিইউ বেড ওয়ার্ডে সুন্দর করে সাজিয়েছে। অপরদিনে পুরাতন স্টীলের বেড গুলো প্রয়োজনী মেরামত করে হাসপাতালে বারান্দায় সাজিয়েছেন। যাতে কোন রোগীদের মেঝেতে শুয়ে থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে না হয়। সম্প্রতি ডাঃ সোলাইমান হোসেন মেহেদী উপজেলার সমসাবাদ এলাকার বিনয় ঘোষের স্ত্রী মালতী রানীর হিপ বলের সফল একটি জটিল অপারেশন সম্পূর্ণ করেছেন। যা একমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বা পঙ্গু হাসপাতালসহ বিশেসায়িত হাসপাতাল ব্যাতীত করা অসম্ভব এবং বাহিরে এই অপারেশনে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা খরচ হতো। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে তিঁনি তা বিনা খরচে করিয়েছেন। হাসপাতালটির সেবার মান ভাল হওয়ায় দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাবু মিয়ার ছেলে শিমুল হোসেন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। গত কয়েকদিন আগে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় তার বাম হাত ভেঙ্গে গেলে এখানে অপারেশনের মাধ্যমে তার হাতটি ভাল হয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী হতে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের ৪৭টি কঠিন ও জটিল রোগের সফল অপারেশন করেন। যার প্রায় সব রোগীই সুস্থ্য হয়ে হয়ে উঠেছেন। হাসপাতালের রেজিষ্টারে দেখাযায়, জরুরী ও বর্হি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪/৫’শ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসে এবং ১০০ থেকে ১৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সোলায়মান হোসেন মেহেদী বলেন, সিমিত পরিসরে আমি ও আমার মেডিকেল টিম নিয়ে আন্তরিকতার সহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। অপরদিকে প্রতিদিন রোগি চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করনের জন্য ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নিত করার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিঁিন। এছাড়াও জরুরী অপারেশন কালে ওটিতে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য একটি আইপিএস বা জেনারেটরের প্রয়োজন। এব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।