ক্রেতা সংকট, দিনাজপুরের হিলি বন্দরে পেঁয়াজের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা, যার প্রতি কেজি দর ২ থেকে ৪ টাকা। এলসি বন্ধ হওয়ার আশংকায় পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। আবার প্রচ- গরমে ভারতের পাইপলাইনে দীর্ঘ সময় যাবৎ পেঁয়াজ লোডিং অবস্থায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে এসব পেঁয়াজ, বলছে পেঁয়াজ আমদানি কারকরা। সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়। পেঁয়াজের আড়ৎ গুলোতে রয়েছে প্রচুর ভারতীয় পেঁয়াজ। বস্তায় বস্তায় খামাল দেওয়া পেঁয়াজ, এসব পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। অনেকেই তা মাটিতে ঢেলে শুকাচ্ছেন। আমদানি কারকরা এসব পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ২০০ টাকা। আবার ভাল পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা বস্তা। কিন্তু এসব পেঁয়াজ নিতে বাহির থেকে আসছে না ব্যবসায়ীরা। যার কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে আমদানি কারকরা। বাহির থেকে আসা কয়েক জন ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেক কমে গেছে। তবে পেঁয়াজের মান ভাল না, ২০০ টাকা বস্তা হিসেবে এক বস্তা পেঁয়াজ কিনলাম। পেঁয়াজ আমদানি কারক বাবুল হোসেন বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আইপি বন্ধ হয়ে যাবে। এই কারণে আমাদের এলসি করা পেঁয়াজের দ্রুত আমদানি করেছি। আর ভারতের পাইপলাইনে পাথর, ভুট্টা, খৈল সহ অনেক গাড়ির চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সিরিয়াল পেতে সময় লেগেছে। এই কারণে দীর্ঘ সময় পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাকগুলো দাঁড়িয়ে থাকায় গরমে তা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, এবার দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করলেও দেশে পেঁয়াজের ঘাড়তি হবে না। আজ আমাদের ঘরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে, বিক্রি করবো এমন ক্রেতা নেই। বর্তমান আমরা যে যেমন দাম বলছেন ঐদামে বিক্রি করছি। ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করছি।