যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিভিন্ন জাতের মাতৃগাছ থেকে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত জাতের ফলদ,ভেষজ, সবজি গাছের চারা ও কলম তৈরি হচ্ছে।পরবর্তীতে তা কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।এ হর্টিকালচার সেন্টার এখন উন্নতমানের ফল, সবজি ও ওষুধির মাতৃগাছের সংগ্রহশালায় পরিণত হয়েছে।মানসম্মত উন্নত জাতের এ মাতৃগাছের চারা ও কলম কিনতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টার সূত্রে জানা গেছে,সরকার বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়নে ফলজ বৃক্ষ উৎপাদনের পাশাপাশি ভেষজ ও সবজি চাষের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।এ কর্মসূচির আওতায় এ হর্টিকালচার সেন্টারে বিভিন্ন উন্নত জাতের ফল,ভেষজ ও সবজি গাছের চারা ও কলম উৎপাদন হচ্ছে এবং পরবর্তীতে তা কৃষক পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে।চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফলজ চারা উৎপাদন করেছে এ হর্টিকালচার সেন্টার।যা পর্যায়ক্রমে চাষির কাছে বিক্রি করা হবে বলে জানান সেন্টারের উপ-পরিচালক বিভাষ চন্দ্র সাহা।
তিনি আরো জানান জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ যশোর হর্টিকালচার সেন্টার থেকে ফলজ,ভেষজ ও ওষুধি গাছের চারা ও কলম বিক্রি হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।চলতি মৌসুমে এ সেন্টারে উন্নতমানের ৩০টি বিভিন্ন জাতের ফলদ ও ওষধি মাতৃগাছ থেকে কলম তৈরি করে তা কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।এখানকার চারা ও কলম ভালোমানের হওয়ায় কৃষকরা বাগান তৈরি করে লাভবান হচ্ছেন।এ হর্টিকালচার সেন্টারে আমের মধ্যে রয়েছে হাড়িভাঙ্গা,গৌরমতি,কাটিমন,সূর্যডিম, রেডপালমার,তাইওয়ান গ্রীণ, কিউজাই,ডগমাই, বারি-৪,৮ ও ১২।কাঁঠালের মধ্যে রযেছে লালকাঠাল,পিংক কাঠাল,গোল্ডেন কাঁঠাল ও বারোমাসি কাঁঠাল,।এছাড়া রয়েছে আমলকি ইন্ডিয়ান গ্রীণ,লাল আমলকি,শরিফা বারমাসি,মিশরী,বালান লিচু,বোম্বাই, মোজাফফর,লেবু চায়না,বিচিবিহীন লেবু, কাগজি লেবু-১,কমলা চায়না, দার্জিলিং,সাদাজাম,ত্বীন ফল, আপেল, জয়তুন,নাসপাতি,পিনাট বাটার,থাইজাম্বুরা,বারি বাতাবি লেবু-২,ভিয়েতনামি মাল্টা,মিষ্টি তেঁতুল,লাল তেঁতুল, সুপারি, চুইঝালসহ বিভিন্ন জাতের সবজি ও ওষুধি গাছ।এসব মাতৃগাছ থেকে বিশেষ প্রযুক্তর মাধ্যমে কলম ও চারা তৈরি করে সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষক পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে।যশোর ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা এসব চারা কিনে বাগান তৈরি করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাচ্ছেন।জেলার মনিরামপুর উপজেলার বেকার তরুণ মেহেদী হাসান এ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে কারিগরি সহায়তা এবং এখানকার মাল্টা,কুল ও পেয়ারার মাতৃগাছ নিয়ে বাগান তৈরি করেছেন।কলম ও চারা বিক্রির পাশাপাশি এ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয় বলে তিনি জানান।এখানকার মাতৃগাছ পরিচর্যায় সার্বক্ষণিক কাজ করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একদল কৃষক।উন্নতজাতের এসব গাছগুলোকে তারা নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করে থাকেন।গাছগুলোকে জৈবসার,পানি দিয়ে সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করে কলম তৈরির মাধ্যমে বড় করছেন তারা।