মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ড.সাজ্জাদ হায়দার লিটন-এর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অশালীন বক্তব্য ও উপর্যুপরি হুমকির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। এদিন দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহবায়ক ও ঘোড়শাল সাহিত্যিক বরকত উল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ তাহসীন হোসেন। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন উক্ত অনুুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতাকে দাওয়াত করা হয়নি এ অভিযোগ তুলে হৈ হট্টগোল শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি রাগান্বিত হয়ে নানা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পন্ড হওয়ার উপক্রম হয়। এসময় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং সাজ্জাদ হায়দার লিটনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও অশালীন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করার প্রস্তুতি নিলে সাজ্জাদ হায়দার ও তার ভাই রাসেদুল হায়দার মোবাইল ফোনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন। সাজ্জাদ হায়দারের হুমকিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটনের অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং আগামীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সকল অনুষ্ঠানে সাজ্জাদ হায়দারকে বয়কটের ঘোষণা দেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বিনয় কুমার পাল, সহকারি কমান্ডার আব্দুল মতিন, সহকারি কমান্ডার আজাদ শাহ নেওয়াজ ভুঁইয়া, সহকারি কমান্ডার আব্দুস সাত্তার কুদরতী, সহকারি কমান্ডার মজিবর রহমান, সন্তান কমান্ডের যুগ্ন আহবায়ক এ কে এম ফজলুল হক শান্ত ড. সাজ্জাদ হায়দারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। তারা অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের গঠনতন্ত্রে উপদেষ্টা পদ নেই। অথচ ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। একটি মহল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।