সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার প্রতিটি ফসলের মাঠে বোর ধানের চারায় সবুজের সমারোহ। কোথাও কোথাও চারা থেকে শিষ বের হয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে। আবার কোথাও খুব তাড়াতাড়ি চারা থেকে শিষ বের হবে। কেউ ধান ক্ষেতের আগাছা পরিস্কার করছেন। আবার কেউ ধান ক্ষেতের পোকামাকড় ও আগাছা দমনের জন্য সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। ধানের চারার সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। সারা বছরের এটা প্রধান আবাদ হওয়ায় প্রচন্ড রোদেও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকেরা। ধান গাছের চারা ভালো হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোয়া। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটে তাহলে এবার বোর ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায় চলকি মৌসুমে এ উপজেলায় বোর ধান আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০ হাজার ২৪০ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে ৩০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। যা চাউল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৮০ মেট্রিকটন। উপজেলার শিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, বর্তমানে বোর ধান গাছের চারা সতেজ হয়ে উঠেছে। প্রথম দফা নিড়ানোর কাজ শেষে এখন চলছে দ্বীতিয় দফা নিড়ানোর কাজ ও সার প্রয়োগ। হলুদ বর্নের চারা গুলো এখন সবুজে পরিনত হয়েছে। তাই প্রতিটি মাঠে এখন যে দিকেই চোখ যায় দিগন্ত জুড়ে সবুজের সমারোহ। বর্তমানে কিটনাশক ও সারের মুল্য বৃদ্ধি হওযায় কৃষকের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ পড়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদি তারা। শ্রমিক মোরশেদ হোসেন বলেন,বোর আবাদ জুড়েই মাঠ কাজ থাকে। এখন বোর ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাঠে কাজ করতে হচ্ছে। কেউ আগাছা পরিস্কার করছে আবার কেউ পোকামাকড় দমনের জন্য কিটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত। বর্তামানে ৫০০ টাকা দিনমজুর হারে কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসসিন সুমী আজকের পতিকাকে বলেন,এ উপজেলায় বোর ধানের আবাদ বেশ ভালো হয়ে থাকে। বর্তমানে কৃষকরা বোর ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত। প্রতিটি মাঠে বোর ধান গাছের চারা বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদি কোন প্রকুতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে এবারে ফলন ভালো হবে। আর এ বিষয়ে মাঠ দিবসের মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষে কৃষকদের নানা পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।