নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বৃহস্পতিবার বিকালে চান্দুয়াইল খালে প্রায় ১২০ ফুট লম্বা কৃষকদের সেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক অনুদানে বাঁশ, বালুবস্তা ও মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাঁধের ওপরে অংশ থেকে পানি তিন ফুট নীচে আছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ও উব্দাখালী নদীর পানি কমায় কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে। এবাঁধ নির্মান সম্পন্ন হওয়ায় উপজেলার কলমাকান্দা ও খারনৈ ইউনিয়ন মেদিবিলের প্রায় ১৫০ হেক্টর বোরো ফসল আপাতত রক্ষা পেয়েছে । তবে শঙ্কামুক্ত নন স্থানীয় কৃষকরা। স্থায়ী একটি সুইচ গেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সম্প্রতি সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল। কলমাকান্দার চান্দুয়াইল খালে মেদীর বিলে বাঁধ না থাকায় বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। পরে টানা কয়েকদিন দিনরাত চান্দুয়াইল এলাকার খালে প্রায় ১২০ ফুট লম্বা কৃষকদের সেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক অনুদানে বাঁশ,বালুবস্তা ও মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হওয়ায় কলমাকান্দা ও খারনৈ ইউনিয়ন মেদিবিলের প্রায় ১৫০ হেক্টর বোরো ফসল আপাতত রক্ষা পেয়েছে। তবে শঙ্কামুক্ত নন স্থানীয় কৃষকরা। স্থায়ী একটি সুইচ গেট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। কৃষক রেজাউল করিম রজব আক্ষেপ করে বলেন, যুগ যুগ ধরে মেদি বিলের ফসলি জমি রক্ষায় আমরা চান্দুয়াইল খালে স্থায়ী একটি সুইচ গেট নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনছেন না। প্রতিটি বোরো মৌসুমে আমরা ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। বর্ষার আগেই ফসলি জমি রক্ষায় আমরা সেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক অনুদানে এ বাঁধ নির্মাণ করে আসছি । তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার এর প্রতিনিধির মাধ্যমে নগদ ৪২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। এবিষয়ে কলমাকান্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, সুইচ গেট নির্মাণের আবেদন পেলে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।