তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাসসহ সব বকেয়া আগামী ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
গতকাল শুক্রবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আলাদা বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সংগঠন দুটি এ দাবি জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা সবসময়ই নির্যাতিত। অতীতেও দেখা গেছে যেকোনো উৎসবের আগে মালিকরা নানা অজুহাতে তাদের ঠকায়। অনেক সময় ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন দিতে দেরি করে। কখনো ঈদের পরেও দেয়। সুযোগ পেলে না দেওয়ারও পায়তারা করে।
একজন শ্রমিক বছর বছর আশায় থাকে অন্যদের মতো তিনিও কর্মক্ষেত্র থেকে বেতন-বোনাস পাবেন ঈদের আগেই। মেটাবেন পরিবারের প্রয়োজনীয় চাহিদা। কিন্তু দেখা যায়, ওই কর্মীকে ঈদের আগে আন্দোলন করতে হয় বেতন বোনাসের জন্য। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
আমরা গার্মেন্টস মালিকদের কাছে অনুরোধ করব, শ্রমিকদের শ্রমেই আপনার প্রতিষ্ঠান চলে। তাদের সঙ্গে অন্যায় করবেন না। তাদের ঈদ বোনাসসহ সব বকেয়া আগামী ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
গার্মেন্টস কর্মী নাসিমা আক্তার বলেন, সারাবছর আগ্রহ নিয়ে থাকি দুটি ঈদে পূর্ণাঙ্গ বোনাস পাব বলে। কিন্তু মালিকরা নানান অজুহাত বোনাস না দেওয়ার পায়তারা করে। কখনো চাপের মুখে একদম শেষ সময় দেয়। কখনো আবার ঈদের পরে দেয়। আমরাও তো মানুষ, আমাদেরও ইচ্ছে হয় অন্যান্যদের মতো আনন্দে ঈদ কাটাতে। ইচ্ছে হয় সন্তানকে একটি নতুন জামা কিনে দিতে। কিন্তু আপনাদের চতুরতায় সেটি সম্ভব হয় না। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস ও সকল বকেয়া ২০ রোজার মধ্যে পরিশোধ করবেন। জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফা আক্তার, কেন্দ্রীয় নেতা মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, মো. কবির হোসেন প্রমুখ। সংহতি বক্তব্য রাখেন একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান। অন্যদিকে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম বাবুল প্রমুখ।