বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

শেরপুরে ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র বানিয়ে আলোচনায় স্কুল শিক্ষক

জাহিদুল খান সৌরভ শেরপুর :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২

শেরপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে নিজের ফসলি জমিতে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের আদলে চিত্রকল্প ফুটিয়ে তুলেছেন এক স্কুল শিক্ষক। এর আগে ২০২১ সালে তার এক খন্ড জমিতে প্রথমবারের মতো জাতীয় পতাকার আদলে বেগুনী রংয়ের ধান চাষ করে আলোচনায় আসেন নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ঘন বেগুনি রঙের এই ধানের জাতটির নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’। সরজমিনে দেখা গেছে ফসলি জমিতে এমন চিত্রকর্ম দেখতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিড় করছে নানা শ্রেণী পেশার লোক। বাদ যায়নি স্থানীয় এলাকাবাসীরাও। জমির মালিক ও চিত্রকর্ম তৈরী করার প্রধান কারিগর শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমি একজন কৃষক পরিবারের সন্তান। তাই ছোট থেকেই কৃষির প্রতি আমার আলাদা টান। গত বছর ইউটিউবে পার্পল লিফ রাইস ধানের চাষ দেখার পর এই ধান চাষে আগ্রহী হই। তখন পরীক্ষামূলকভাবে ১০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলাম। ফলনও খুব ভালো পেয়েছিলাম। তাই এবার দুই খন্ড জমিতে পৃথকভাবে মোট ৫০ শতাংশ জমিতে ধানের আবাদ করেছি। যেখানে এবারও বেগুনি ধানের (পার্পল লিফ রাইস) বীজও রোপণ করা হয়েছে। দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আমি আমার ফসলি জমিতে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের আদলে চিত্রকল্প ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। স্থানীয় এলাকাবাসী জহুরুল ইসলাম জানান, আলম মাষ্টারের চিত্রকর্মের কথা লোকমুখে শুনেছি। এতদিন কাজের ব্যস্ততা থাকায় আসতে পারি নাই। তাই আজ ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র দেখতে এসেছি। পার্শ^বর্তী শ্রীবরদি উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল আলম বলেন, আমি পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। পেশাগত কাজে আমাকে প্রায়ই ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাইলের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। তাই মাঝে মধ্যেই রাস্তার পার্শ্বে জমিতে আলম স্যারের চিত্রকর্ম দেখতে দাঁড়াই। শেরপুর থেকে আসা চাকুরীজীবী রুবেল মৃধা ঢাকা পোস্টকে জানান, আমি সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে জানতে পারি ফসলের মাঠে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র বানানোর কথা। তাই স্বচক্ষে দেশপ্রেমিক শিক্ষক ও তার চিত্রকর্ম দেখতে এখানে ছুটে আসি। ধান গাছ দিয়ে কৃষি জমিতে এত সুন্দর চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তোলা যায় তা নিজ চোঁখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এমদাদুল হক বলেন, শেরপুর একটি অত্যন্ত কৃষি সমৃদ্ধ জেলা। এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে ধান অন্যতম। জেলায় এবার ৯১ হাজার ৬৯৯ হেক্টর জমির ধান উৎপাদন হয়েছে। এদিকে ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নে নূরে আলম সিদ্দিকী নামে একজন প্রধান শিক্ষক তার ফসলি জমিতে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র বানিয়েছেন। যা দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com