চাঁদা না দেয়ায় নগরের কাশিপুরে গৃহবধুকে খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর থেকে নির্যাতনের শিকার হ”েচ্ছন নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিন। গত ৪ এপ্রিল খুনের ঘটনায় কাশিপুর ফিসারী রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত আদম আলী হাওলাদার এর ছেলে মো: তাওহিদ হোসেন মনু(৪০), মো: তাওহিদ হোসেন মনু এর স্ত্রী মো: নিপু আক্তার(২৫), হেমায়েত হোসেন এর ছেলে জুম্মান হোসেন(৩০) ও মিরাজ মিস্ত্রি(৪০)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে নাম অভিযুক্ত করে বিমানবন্দন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত গৃহবধু আফিয়া খাতুন(৪৫) এর স্বামী অব: প্রাপ্ত সার্জেন্ট গিয়াস উদ্দিন। থানায় যার হত্যা মামলা নং-০৬/২০২২। আর এরপর থেকেই প্রায় সময়ই মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে মামলার প্রধান আসামী মো: তাওহিদ হোসেন মনু ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি। আর এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ এপ্রিল বাদী গিয়াস উদ্দিন ও তার দুই ভাগিনাদের মারধর করে তাওহিদ হোসেন মনু এর বড় ভাই মো: হুমায়ন কবির। এসময় হুমায়ন কবির উচ্চস্বরে বলতে থাকেন ৩০ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতির ভাই সেলিম এর হাতও আমরা ১৯৯৮ সালে কেটে নিয়েছি। আর তাতেই আমাদের কিছুই হয়নি। তোরা মামলা উঠাবি কিনা তা বল। অপরদিকে হুমায়ন কবির এর ফুফাতো ভাই ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ধর্ষন মামলার আসামী কালাম মোল্লা ভুক্তভোগীকে হুমকি দিয়ে বলেন, এই মামলা উঠাবি কিনা বল। মনু আমার ফুফাতো ভাই আর এই মামলায় তোরা কিছুই করতে পারবি না। আর মামলা না উঠালে তোদের বরিশাল ছাড়া করবো। আমার বিরুদ্ধেও এমন ডজন,ডজন মামলা হয়ে আছে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী ঘটনার দিনই বরিশাল বিমানবন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শফিকুল ইসলাম। এবিষয়ে অভিযুক্ত মো: হুমায়ন কবির এর কাছে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থাণীয় সূত্রে জানাযায়, মো: তাওহিদ হোসেন মনু কাশিপুর এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। একাধিকবার মাদক মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহীনির খাঁচায় বন্দি হয়ে অদৃশ্য আর্শীবাদে বার বার বের হয়ে আসে। এছাড়াও ওই কাশিপুর এলাকায় কোন ব্যাক্তি ভবন নির্মান করতে গেলে তাদের চাঁদা দিতে হয়। গত ৪ এপ্রিল মামলা দায়ের করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে বাদী আবঃ সার্জেন্ট গিয়াস উদ্দিনের এক ছেলে ও তার দুই মেয়ে আসামীদের ভয়তে স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা বন্ধ করে দিছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী গিয়াস উদ্দিন পুলিশ কমিশনার সহ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লেখ্য বাড়ি নির্মাণে চাঁদা দিতে অস্বিকার করার জেড় হিসাবে চাঁদাবাজ হত্যাকারীদের ইটের আঘাতে গত ৩ এপ্রিল আফিয়া খাতুন(৪৫) নামে এক নারী হত্যা করা হয়। এব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার এনচার্জ (ওসি কমলেস সরকার বলেন আমরা হত্যকারী সহ তার দোসরদের প্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। আসামীরা হত্যাকাএওন্ডর ঘটনার পর স্থান ত্যাগ করা সহ তাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে রাখার কারনে একটু দেরি হচ্ছে। তবে আমাদের চারদিকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে আশাকরি শিঘ্রই এদেরকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।