শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সদর থানা দক্ষিণ কেওয়ার রাস্তা ভেঙ্গে পড়ায় এলজিইডি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা চকরিয়ায় মানববন্ধনেও থামছেনা বালু লুট পাটগ্রামে যুগের আলো পত্রিকার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মতবিনিময় সভা নগরকান্দায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত বিভিন্ন ক্যটাগরীতে গুণী শিক্ষক মনোনীত সংসারের পাশাপাশি দিনাজপুর জেলা বিএনপির রাজনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন হাসি আকতার হিরা ভাঙ্গুড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা বড়লেখায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন উদ্যোগে সিরাতুন্নবী সা. মাহফিল বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা মন্ডপে সন্ত্রাসী হামলার আশংকা করছেন জয়নুল আবেদীন ফারুক কেশবপুরে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিএনপি’র দোয়া ও আলোচনা সভা

বাংলা একাডেমিতে গ্রামীণ আবহে বৈশাখী মেলা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

বায়োস্কোপ দেখতে ছোট্ট শিশুদের ভিড়। পিছিয়ে নেই তাদের অভিভাবকেরাও। নাগরদোলায় উঠছেন কেউ কেউ। একপাশে চলছে পুতুল নাচ। অন্যদিকে বসেছে রংবেরঙের মাটির পুতুল, হাতপাখা, তির-ধনুক, শঙ্খ কাঁসার তৈজসপত্র, নকশিকাঁথা ও খাবারের দোকান। রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত বৈশাখী মেলায় যেন বাংলার চিরায়ত গ্রামীণ বৈশাখী মেলার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
ফটক দিয়ে মেলায় প্রবেশ করে একটু এগোলেই বাঁ পাশেই চোখে পড়ে পুতুলনাচ। মানিকগঞ্জের বিজয়নগরের মানিকবাবু, বলরাম রাজবংশীর বিশ্বরূপা পুতুলনাচ পার্টি। পুতুলনাচের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেলা সকালে শুরু হলেও দর্শনার্থী না থাকায় বিকেল চারটায় প্রথম শো (প্রদর্শনী) শুরু করা হয়। মেলায় ঢুকতে ৩০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে টিকিট। তবে প্রতিবন্ধীদের জন্য ফ্রি। পুতুলনাচের মঞ্চ থেকে বের হয়ে রাস্তার বাঁ পাশের ফুটপাতে বাঁশির পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় একজনকে। তাঁর পাশে একজন চিত্রশিল্পীও আছেন। তিনি ১০ মিনিটেই এঁকে দেন যে কারোর ছবি। মেলা ঘুরে দেখা যায়, চুড়ি, মালা, হাতে কাজ করা থ্রি–পিস, চামড়ার জুতা-ব্যাগ-মানিব্যাগ, হাতের কাজ করা থ্রি–পিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
পোশাকের পাশাপাশি পুতুল, মাটি–শঙ্খ–কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্র, হাতপাখা, কাগজের ফুল, মাটির টমটম, বেলুন বাঁশি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, তাঁতের কাপড়চোপড়, সুলার ফুল, নাগরদোলা, শুটার, ভূতের বাড়ি, সাম্পান নৌকা, চরকি, পুতুল ব্যাগসহ পাটের নানা জিনিস, মাশরুমের নানা খাবার, চটপটি-ফুচকা, বেতের শো পিসসহ নানা রকম জিনিস নজর কাড়ে নানা বয়সী দর্শনার্থীদের।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় মোট ১০০টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি স্টল ফ্রি। যেসব উদ্যোক্তা মেলায় অংশ নিয়েছেন, তাঁরা বিসিকের নিবন্ধন বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও বিসিক উদ্যোক্তা ফোরামের সদস্য। সাত বছরের সন্তান শামসুল হক নিহাতকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছিলেন সূত্রাপুরের বাসিন্দা মনির হোসেন। মেলার আয়োজনে তিনি তেমন সন্তুষ্ট নন। তবে তাঁর ছোট্ট ছেলেটি বেজায় খুশি। মেলা থেকে কেনা বেলুনের বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে নিহতা জানায়, এটা তাঁর খুবই ভালো লেগেছে।
এ সময় কয়েকজন দোকানির কাছে জানতে চাওয়া হয় বেচাকেনা কেমন? তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানালেন, বেচাকেনা ভালো না। তাঁদের অভিযোগ, বাংলা একাডেমিতে মেলা হলেও টিএসসি কিংবা শাহবাগ এলাকায় এ নিয়ে কোনো পোস্টার–ব্যানার নেই। প্রথম দুই দিন মেলায় মাইকের আয়োজনও ছিল না। তবে শনিবার মেলার মূল ফটকে মাইকের মাধ্যমে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। দোকানিরা পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘লোকই তো নাই। বেচাকেনা হবে কোথা থেকে? প্রচার নেই। ব্যানার নেই।’
তবে অনেকের আবার বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে। স্টল সাজিয়ে বসা ইরা বুটিকের কর্ণধার এলিনা রাহি ইরা বলেন, ‘আমার এখানে হরেক রকম পণ্য। বিক্রিও বেশ ভালোই হচ্ছে।’ মেলার প্রচার হচ্ছে না, এমন অভিযোগ ঠিক না বলে মনে করেন বিসিক উদ্যোক্তা ফোরামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজবিন হাফিজ। তিনি বলেন, প্রতিদিনই গণমাধ্যমে মেলার প্রচার চলছে। রেজবিন হাফিজ বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের চুড়ি, মালা, কাঁসা, পিতল, হাঁড়ি–পাতিল সবকিছু নিয়ে চেয়েছি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শহরটাকে গ্রামের আদলে পরিপূর্ণতা দিয়ে মেলা করতে। মেলার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি ঐতিহ্যকে ধরে রাখার।’ করোনার কারণে গত দুই বছর বৈশাখী মেলা বন্ধ ছিল। ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টায় শুরু হয়ে এই মেলা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বিসিক উদ্যোক্তা ফোরাম ও ঐক্য ফাউন্ডেশন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com