বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দেশের সকল পর্যায়ের ঘর উপহার প্রনয়ন হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্ম সময়ে শ্রেষ্ঠ কাজ বলে জাতীয় সংসদে এক এমপির প্রশ্ন উত্তরে সংসদ নেত্রী একথা বলেন। সত্যিই বিষয়টা সত্য। কেননা দেশের কোন ভূমিহীন-ভাসমান ছিন্নমূল মানুষদেরকে পরিপূর্ন ভাবে সেমি পাকা ঘর, বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, সবজেন এক অলৌকিক দৃশ্যপট। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মোতাবেক এই স্বাধীন বাংলাদেশে একটি মানুষ ও গৃহনীন থাকবে না। সেই আলোকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চলছে ঘর নির্মাণ এবং সত্যিকার ভূমিহীন মানুষের সংখ্যার জরীপ কাজ। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসনে-গতকাল শুক্রবার ২২ এপ্রিল/২০২২, সমূদ্র উপকূলীয় বৃহত্তর গলাচিপা উপজেলা পর্যায়ে সকল জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ইমাম, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে মত বিনিময় সভায় সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী-(৩) জাতীয় সংসদ সদস্য ও জননেতা এস এম শাহজাদা (এমপি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে মত বিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মু. শাহিন শাহ। সভায় জেলা প্রশাসক জনপ্রতিনিধিদের বলেন, ভূমিহীন তালিকায় (ক) শ্রেণী ভূক্ত, নাম ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রকৃত ভূমিহীনদের তালিকায় প্রণয়ন করে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে দলমতের উর্দ্ধে থেকে তালিকা দেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি নামের তালিকা নিয়ে অর্থ লেনদেন না হয়, সে ব্যাপারে শতর্ক থাকার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে, পৌর মেয়র আহসুনুল হক তুহিন ও অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সভাপতি মু. খালিদ হোসেন মিলটন। উল্লেখ্য পটুয়াখালী জেলাকে সরকারের কাছে ভূমিহীনদের তালিকা সর্ব প্রথম প্রকাশের জন্য প্রশাসন দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষে প্রতিটি উপজেলায় কাজ চলছে। ইতি মধ্যে গলাচিপা উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে মোট ১২৪৩টি ঘর গৃহহীনদের দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান এবং পর্যায়ক্রমে (খ-শ্রেণী) ভূক্ত মানুষের তালিকা প্রণয়ন ও ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হবে।