প্রবাসীদের মুক্তিযোদ্ধা বিশেষ ভাতা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, প্রবাসীরাও মুক্তিযোদ্ধা। আমরা যুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীন করার জন্য। আর প্রবাসীরা যুদ্ধ করছেন দেশ গড়ার জন্য। আমি আহ্বান জানাব প্রবাসীরা দেশে এলে তাদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা হোক।
গত রোববার (৮ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর দুইশ দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী। তাদের শ্রমে-ঘামে আমাদের দেশ গড়া। তাদের প্রতি আরও একটু ভালো ব্যবহার করা হোক। এদের অনেক ঝামেলার সঙ্গে আছে পাসপোর্টের ঝামেলাও। এসব সমস্যা দূর করতে হলে প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একটু ভালো থাকার জন্য প্রবাসীদের দাবি খুব বেশি নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন দাবি আদায় হবে না। বিদেশের মাটিতে প্রবাসীদের লাশ পড়ে থাকে, ভূমধ্য সাগরে লাশ ভেসে থাকে, অথচ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থাকে চুপচাপ। বিদেশের মাটিতে বাঙালিদের কষ্টের সীমা নেই। অথচ এ সরকার সেগুলো দেখে না, কিন্তু রেমিট্যান্সের সক্ষমতা ঠিকই নিজেদের করে দেখায়। আমরা যারা আছি প্রবাসীদের দাবি নিয়ে প্রয়োজনে রাজপথে নামবো। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে একটি অন্তর্র্বতী সরকার দেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে যতগুলো বিরোধী দল আছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা নির্বাচনে যাবে না বলেও জানান।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যায় এটা যে মিথ্যা তা ২০১৪-এর দিকে তাকালেই দেখা যায়। দুর্নীতি করে এতো টাকা যে উপার্জন করেন, এগুলো নিয়ে যাওয়ার জায়গা তো নেই। এগুলো জনগণের টাকা, তাদেরই ফিরিয়ে দিতে হবে।
নুর বলেন, প্রবাসীরা দেশের বাইরে গেলে অমানবিক কষ্টের শিকার হন, লাঞ্ছনা-বঞ্চনার স্বীকার হয়। সেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসও সেভাবে সহযোগিতা করে না। সব জায়গায় দুর্নীতি ঢুকে গেছে। বিদেশে যেতে যেখানে এক লাখ টাকা দরকার, সেখানে নেওয়া হয় ৫ লাখ টাকা। আমরা আমেরিকায় আমাদের শ্রম বাজার হারিয়েছি। ইউরোপের বাজারও খুব একটা ভালো নয়। অথচ এ মানুষগুলোর উপরেই আমাদের জীবনমান অনেকটা নির্ভরশীল। এখন দেশের মধ্যে একটা চরম সংকট বিদ্যমান। এখানে মানুষের কথা বলার, লেখার, মত দেওয়ার স্বাধীনতা নেই। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক মো. হাওলাদার। এছাড়াও গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।