পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তের ব্যস্ততম ৫নং ফেরিঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত এই ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ঘাট সঙ্কট।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ঘাটের পন্টুনের র্যাম উচুঁতে টেনে তোলা হচ্ছে। দুপুর নাগাদ তা ঠিক হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন কর্তারা। তবে ৩ ও ৭নং ঘাটটি চালু রয়েছে। তাতে সতর্কতা মেনে ফেরিতে লোড-আনলোড করা হচ্ছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৭টি ঘাটের মধ্যে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। ঘাট সঙ্কটের কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে তীব্র ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে আরো দেখা যায়, জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত ৭০০ যানবাহন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শত শত যাত্রীবাহী বাস। মধ্যরাতে ফেরিঘাটে আসা বাসগুলো এখন পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেনি। দীর্ঘ সময় ফেরিপারের অপেক্ষায় থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। আর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানগুলোর ভোগান্তি দুইদিন পর্যন্ত। যাত্রী ও চালকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শোনা যায় দৌলতদিয়া প্রান্তে সাতটি ঘাট। এখন তো দুইটি ঘাট সচল রয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টিতে বাসের মধ্যে তারা। খাওয়া নাই, নাওয়া নাই; কখন ঢাকায় পৌঁছাতে পারবে তার কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না। বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো: শিহাব উদ্দীন বলেন, বর্তমানে এ রুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট সঙ্কটের কারণে আমাদের ফেরি চলাচল বিঘœ হচ্ছে।