নিয়ম মেনেই মাদকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মে) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের ১৫টি বেসরকারি মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রকে আর্থিক অনুদান দেওয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মাদক বিস্তার রোধে মদের বিষয়ে সরকার নমনীয় হবে কিনা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, একটা হলো সফট ড্রাগস, আরেকটি হলো হার্ড ড্রাগস। সফট ড্রাগস সারা বিশ্বেই চলছে। আমাদের এখানেও লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে, কয়েকটি হোটেল-রেস্টুরেন্ট-ক্লাবকে লাইসেন্স দিয়েছি। তারা শর্ত মেনে চলছেৃ যারা শর্ত মানছে, তারা তা মেনে চলছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাইসেন্স দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আওতা বাড়বে কিনা এটা নির্ভর করে তারা আমাদের নিয়ম-কানুন কতটা মেনে চলতে পারছে বা পারবে। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারাই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে পারবে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কয়েকটি ক্রাইটেরিয়া আছে যখন সেগুলো ফুলফিল করতে পারবে, তখন তারা লাইসেন্স পাবে। সুরা নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন যখনই প্রয়োজন হয়, তখনই সেটা ব্যবহার করা হয়। এখন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি আইন রয়েছে, সেখানে প্রয়োজনে আমরা ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু এখনই আমরা মনে করছি না সেটার প্রয়োজন হচ্ছে।
মাদকের ভয়াবহতার বিষয়ে একটি ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদকাসক্ত সন্তানকে আটক করতে আমার কাছে এসেছিলেন বাবা-মা। দুজনেরই অঝোরে কান্না। বলছেন যে, আমার ছেলেকে আপনি আটক করেন। কেন তোমার ছেলেকে আটক করবো- এ প্রশ্ন করতেই ওই সন্তানের বাবা-মা বলেন, আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমার বাড়িঘরের সমস্ত জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা তার বাবা-মা। আমাদেরও মারছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ঐশীর কথা ভুলে যাননি। মাদকাসক্ত হলে মানুষ কী করে? তাদের যে জ্ঞান তা হারিয়ে ফেলে, সবকিছু হারিয়ে ফেলে। সেটার জন্য তাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সেভাবে কাজ করছি।