পার্বতীপুর পাওয়ার হাউজ কলোনীর এল-৩২০ (আই) ও এল-৩২১ বাসা দু’টির অবৈধ দখলদার লোকোসেড খালাসী জামাল উদ্দিন। এছাড়া পাওয়ার হাউজ কলোনীর খেলার মাঠের দক্ষিণ অংশসহ রেলের প্রায় ৩০ শতাংশ জমির উপর অবৈধভাবে দুটি পাকা বাড়ী নির্মাণ করেছেন। এখন জামাল উদ্দিনের চোখ পড়েছে এল-৩২০ (জে) এক কক্ষের একটি জীর্ণ বাসার উপর বলে অভিযোগ উঠেছে। পার্বতীপুরে রেলের প্রায় সাড়ে ১৪শ বাসাবাড়ীর দুইতৃতীয়াংশই এভাবে অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে গেছে। বাসাবাড়ীর চারপাশের খোলা জায়গা ও লেখার মাঠও গ্রাস করছে অবৈধ দখলদাররা। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও যথাযথ তদারকির অভাবে পার্বতীপুরে রেলের হাজার কোটি টাকার সম্পদ বেহাত হয়ে গেলেও কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। জানা গেছে, পার্বতীপুর ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানা (ডিজেল সপ) পুলের আওতাধীন পাওয়ার হাউজ কলোনীর এল-৩২০(জে)নং বাসাটি ডিজেল সপের কার্য-ব্যবস্থাপক (ডাব্লিউএম-ডিজেল) জহিরুল ইসলামের নিকট থেকে বরাদ্দ নিয়ে ডিজেল সপের খালাসী হাফিজুর রহমান বসবাস করছেন। একই বাসা লোকোসেড কর্মচারী জামাল উদ্দিন বিধি বহির্ভূতভাবে বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (লোকো) পাকশী থেকে বরাদ্দ নেয়। তবে বাসা খালি না থাকায় দখল নিতে পারেননি। কিন্তু দু’জনের বেতন থেকে প্রতিমাসে বাসাভাড়ার টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। হাফিজুল ইসলাম জানান, যথাযথ প্রক্রিয়ায় তিনি এই বাসা বরাদ্দ নিয়েছেন। কিন্তু জামাল উদ্দিন তাকে এখান থেকে উচ্ছেদ করতে উঠে পড়ে লেগেছে।বাসাটি ডিজেল পার্বতীপুর পুলভুক্ত বিধায় ডাব্লিউ এম (ডিজেল) পার্বতীপুরের ছাড়পত্র ছাড়াই বিধি বহির্ভূতভাবে জামাল উদ্দিন বরাদ্দ নেয় বলে পার্বতীপুর আই ডাব্লিউ (ওয়ার্কস) কার্যালয়ের তৎকালিন উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই) মো. তহিদুল ইসলাম ৩ ফেব্রুয়ারী লিখিতভাবে বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (লোকো) পাকশীকে জানিয়ে দেয়। জামাল উদ্দিন ডিজেল সপের কর্মচারী নয় এবং বিধি অনুযায়ী ডিজেল সপের পুলভুক্ত বাসাও বরাদ্দ পাবে না। গত শনিবার সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এল-৩২০(জে) নং এক কক্ষের বাসাটির জীর্ণদসা। ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি ঘরে পড়ছে। পলিথিন কিনে আনা হয়েছে ছাদের উপর ঢেকে দেওয়ার জন্য। এই ঘরেই হাফিজুর স্ত্রী ও দুই সন্তান দিয়ে কোন রকমে বসবাস করছেন। এল-৩২০ (আই) ও ৩২১ বাসা দুটি এবং প্রায় ৩০ শতক রেলভূমির উপর জামাল উদ্দিনের দুটি পাকাবাড়ী দেখা যায়। দুটি বাসা অবৈধ দখল করার বিষয়ে জানাতে চাইলে জামাল উদ্দিন জানান- দুটি বাসাই পরিত্যক্ত। রেলের জায়গায় অবৈধভাবে বাড়ী নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল উদ্দিন বলেন- রেলে চাকুরী হওয়ার আগে তিনি বাড়ী নির্মাণ করেছেন। এখন বৈধভাবে থাকতে চান। উল্লেখ্য, পার্বতীপুরে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য সাতটি কলোনীতে প্রায় সাড়ে ১৪শ বাসা রয়েছে। এরমধ্যে ৫৪০টি কোয়ার্টারে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বরাদ্দ নিয়ে বৈধভাবে বসবাস করছেন।