কলিং ভিসা নিয়ে গতকাল ঢাকায় দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের জয়েন্ট ওয়ার্কিং মিটিং এরপর নিজ দেশেই এবার সিন্ডিকেট প্রশ্নে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান। গত বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট বিরোধীদের আয়োজিত মানববন্ধনের সংবাদ শুক্রবার মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এই সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সমালোচনার কথা উড়িয়ে দিয়ে এম সারাভানান বলেছেন, ঢাকায় কোনো বিক্ষোভ বা মানববন্ধন হয়নি। তাকে ঢাকায় শান্তিপূর্ভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং আলোচনা সফল হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও সিন্ডিকেট-এর পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে মন্ত্রী এম সারাভানানের বিরুদ্ধে আগে একাধিকবার সমালোচনা করেছেন দেশটির এনজিও এবং সুশীল সমাজ। কিন্তু প্রত্যেকবার এম সারাভানান এসব সমালোচনা এড়িয়ে গেছেন।গতকাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনার পর কলিং ভিসা চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। চলতি মাস থেকেই মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হবে। সমঝোতা স্বারক চুক্তি অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে মালয়েশিয়ায়। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান ও দেশটির প্রতিনিধিদল এই বৈঠকে অংশ নেন। তবে কোন কোন রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাবে সেটা নির্ধারণ করবে মালয়েশিয়া এই শর্তে সম্মত হয়েছেন উভয় পক্ষ। মোট খরচ কত পড়বে এবং মেডিক্যাল কখন থেকে শুরু হবে এ বিষয়টিও এখনো জানানো হয়নি। অভিবাসন খরচ প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘খরচ কিন্তু সমঝোতায় উল্লেখ করা আছে। বাংলাদেশের প্রান্তে যে খরচ তা কর্মীকে বহন করতে হবে। বিমান টিকেট থেকে শুরু করে বাকি খরচ নিয়োগকর্তার। আগের সমঝোতায় বিমান টিকিট একটি ছিল, এখন আসা যাওয়া দুটির খরচ নিয়োগকর্তার। যদি কোনো এজেন্সি বা নিয়োগকর্তা আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে’।