স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে, মেডিক্যাল সেন্টারে, শপিং মলে বন্দুকধারীদের হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এর জন্য আমেরিকার অস্ত্র আইনকেই দায়ী করছেন দেশের নাগরিকদের একটা বড় অংশ। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও মনে করেন, অবিলম্বে অস্ত্র আইন কঠোর করা দরকার। তিনি কাতরভাবে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘আর কতদিন আমরা এভাবে মানুষ হত্যা সহ্য করে যাব? অস্ত্র আইনকে কঠোর করুন।’ আমেরিকায় আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের অধিকারী হলো দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেট। বাইডেন তাদের কাছেই আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘এখন অন্তত কিছু করি।’
তার প্রস্তাব, বন্দুক রাখার বয়সসীমা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করা হোক। অ্যাসল্ট রাইফেল ও হাই ক্যাপাসিটি ম্যাগাজিন রাখা বন্ধ হোক, আর বন্দুক হাতে দেয়ার আগে খতিয়ে দেখা হোক, ক্রেতার মানসিক স্থিতি আছে কি না। মানসিক সমস্যা হলে নিরাপত্তা বাহিনী যাতে বন্দুক নিয়ে নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হোক। বাইডেনের দাবি, এই নিয়মগুলো থাকলে সা¤প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটত না।
বাইডেন বলেছেন, অস্ত্র আইন থেকে প্রোটেকশন অফ ল-ফুল কমার্সের ধারা বাদ দেয়া হোক। এই ধারা আছে বলে, নির্মাতাদের ধরা যায় না। তাদের অস্ত্র নিয়ে অপরাধ করলেও কিছু করা যায় না। বাইডেন গত দশকের বিভিন্ন স্কুলে বন্দুকধারীদের হামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এতদিন এটি নিয়ে কিছুই করা হয়নি। কিন্তু এবার করতে হবে। গত দুই দশকে পুলিশ বা সেনা সদস্যের চেয়ে বেশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী মারা গেছে। দয়া করে বিষয়টি নিয়ে ভাবুন। রিপাবলিকানরা অতীতেও অস্ত্র আইনকে কড়া করার বিরোধিতা করেছে, এখনো করছে। ডেমোক্রেটরা বন্দুক কেনার বয়সসীমা বাড়াতে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিল আনছে। তাতে রিপাবলিকানরা আপত্তি জানিয়েছে। সিনেটে যা অবস্থা, তাতে বাইডেনের ডেমোক্রেটদের বিল পাস করাতে গেলে রিপাবলিকানদের সাহায্য লাগবে। কারণ, বিল পাস করাতে গেলে এক শ’ জনের মধ্যে ৬০ জনের সমর্থন দরকার। ফলে রিপাবলিকান সদস্যদের একাংশের সমর্থন না পেলে সিনেটে বিল পাস হবে না। সূত্র : ডয়েচে ভেলে