দুদকের মামলায় ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমেদকে পৃথক দুই ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ফরিদ আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৩৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৯১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অসাধু উপায়ে অর্জিত ৩৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৯১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানের দায়ে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাকে চার বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং এক কোটি দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। এরপর আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।