আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে (আইআইইউসি) আর্থিক লেনদেনে দীর্ঘ দিনের প্রতিষ্ঠিত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। আইনের বিধানমেেত প্রতিটি পিরিয়ডের অডিট সম্পন্ন করা হয়েছে। বিগত ২৫ বছর যাবৎ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজসহ সকল পর্ষদ বেসরকারী বিশ্বব্যিালয় আইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা/বিধিবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যাটিউটস অনুযায়ী নিয়ম নীতির মধ্যে পরিচালিত হয়ে আসছে।কোন গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা সরকারের কোন মহল থেকে অদ্যাবধি বিশ^বিদ্যালয় অথবা বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর কোন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা কোনরূপ অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। ‘আইআইইউসি’র কোন ভবন ভাড়া নিয়ে জঙ্গী তৎপরতা চালানো হয়েছে’- এ মর্মে কোন অভিযোগ বিগত ২৫ বছরে কোন গোয়েন্দা সংস্থা, কিংবা সরকারী প্রশাসনের কোন মহল থেকে উত্থাপিত হয়নি। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে,‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ১৩ জুন ২০২২ তারিখে “আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় চট্টগ্রাম-জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ লোপাটের অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এহেন অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও দূরভিসন্ধিমূলক সংবাদে আমরা আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্যগণ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আইআইইউসি’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের নিয়ে গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম ও সদস্যগণসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। জনাব আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক আহছানুল্লাহ ভূঁইয়া, জনাব মুহাম্মদ শাহজাহান ও প্রিন্সিপাল আমিরুজ্জমান, সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ; এছাড়াও সংবাদে উল্লেখিত সম্মানিত শিক্ষক প্রফেসর ড: মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মকর্তাগণ অত্যন্ত সততা ও যোগ্যতার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো দাবি করা হয়েছে, প্রফেসর ড: আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিগত ০১/০৩/২০২১ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ড: আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর পক্ষে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম ট্রাস্ট নামে আরেকটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় অনাপত্তিপত্র প্রদান ও একই নামে আরেকটি ট্রাস্ট নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নিবন্ধক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মসকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নিবন্ধিত কোন বৈধ ট্রাস্টি বোর্ড না হওয়া সত্ত্বেও কথিত স্বার্থান্বেষী মহলটি ড: আবু রেজা এমপি’র নেতৃত্বে চর দখলের মতো আইআইইউসি দখলে নিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর নামে বৈঠক, বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ পর্ষদ গঠন ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ শুরু করে। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশ^বিদ্যালয়ের মতো বৃহত্তর জ্ঞানচর্চার বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে এক ভয়াবহ ‘রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের’ কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করা হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিবন্ধক এর কর্মকান্ডের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইআইইউসি ট্রাস্ট কর্তৃক মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রীট পিটিশন (নং ৩০০৯/২০২১) দায়ের করা হলে, গত ১৮/০৩/২০২১ ইং তারিখ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট আইআইইউসি ট্রাস্ট কর্তৃক দায়েরকৃত রীট পিটিশনের শুনানি অন্তে – ক) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উক্ত নির্দেশনা প্রদান কেন বেআইনী, এখতিয়ারবিহীন ও আইনগত কর্তৃত্ব বহিভূর্ত ঘোষণা করা হবে না। এবং খ) নিবন্ধক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস কর্তৃক ১০/০৩/২০২১ ইং তারিখে প্রদত্ত্ব একই নামে আরেকটি ট্রাস্ট গঠনের নিমিত্বে নামের ছাড়পত্র প্রদান কেন বেআইনী, এখতিয়ারবিহীন ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না”, মর্মে আদেশ প্রদান করেন। বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী-যে কোন ব্যক্তি আবেদন করলেই সরকার কিংবা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ তাকে সভাপতি বানিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান জনাব আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন বৈধ ট্রাস্টের নিবন্ধন বাতিল হয়নি, এটিই আইনসম্মত কর্তৃপক্ষ; বরং কথিত নতুন ট্রাস্ট এর নিবন্ধনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র ও নামের ছাড়পত্রের আইনগত বৈধতার বিষয়টিই মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রীট জুরিষ্ডিকশনে বিচারাধীন। তাঁরা নিবন্ধন পাননি, তাঁদের বানোয়াট অডিট আপত্তির কোন ভিত্তি নেই। ‘সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা নদভী নিজেকে আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান বলে দাবি করছেন’- তিনি এর স্বপক্ষে বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয় আইন ২০১০ এর আলোকে একটি দালিলিক প্রমানও পেশ করতে পারবেন না। বরঞ্চ অবৈধভাবে দখল নেয়ার পর ড. আবু রেজা নদভী এমপি বিশ^বিদ্যালয়ের সার্ভিস রূলস, সিন্ডিকেট, ইউজিসি ও বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয় আইন, ২০১০ ইত্যাদির তোয়াক্কা না করে এককভাবে প্রভাব খাটিয়ে আইআইইউসি-তে একের পর এক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো দাবি করা হয়েছে,আইআইইউসি-তে প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভী এমপি’র স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষুব্ধ স্বয়ং চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা, এমনকি তাঁর নেতৃত্বাধীন (অবৈধ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর অপরাপর সদস্যরাও বিরক্ত বলে গুঞ্জণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি সংবাদ মাধ্যমে ড. আবু রেজা নদভী এমপি’র বিভিন্ন অস্বস্তিকর কর্মকান্ডের কারনে ভবিষ্যতে তিনি আর সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন না, মর্মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মূলত: প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভী এমপি জোরপূর্বক বেআইনীভাবে আইআইইউসি দখল করলেও অদ্যাবধি কোনরূপ আইনী বৈধতা না পেয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং আইনী প্রক্রিয়ায় তাঁর পারজয় আসন্ন, তা টের পেয়ে তিনি আইআইইউসি’র বৈধ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্য মামলা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের উচ্চ মহলের সুনজরে আসার চেষ্টা করছেন। সচেতন মহল উদ্বিগ্ন এ জন্য যে, একটি স্বনামধন্য বিশ^বিদ্যালয়কে বারবার “রাজনৈতিক বিষয়” এর সাথে যেনতেন প্রকারে সম্পৃক্ত করে এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এমন অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হবার জন্য আইআইইউসি’র সম্মানিত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রেসবিজ্ঞপ্তি