উজানের পাহাড়ী ঢল ও কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষনের ফলে তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল থেকে পানি বাড়তে থাকায় ১২টার পর তা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৮৮ মিটার) ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। একদিকে অতিবৃষ্টি অন্যদিকে উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছে তিস্তার পাড়ের বন্যার দুর্গত এলাকার লোকজন। এদিকে তিস্তা বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের প্রায় ২০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে। এ ছাড়া পাশ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা,কালিগঞ্জ উপজেলার নদী বেষ্টিত চর ও গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চরের নিচু অঞ্চলের বসতভিটায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নিচু অঞ্চলের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ বাধে আশ্রয় নিয়েছে। নিচু জমিতে পানি আটকে চলতি মৌসুমের ফসল তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বন্যা কবলিত পরিবারগুলি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারনে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও। সকাল ৯টা থেকে তা বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি সার্বিক নজর দিচ্ছেন প্রশাসন।