উজান থেকে প্রবল বেগে ঢল নামছে সিলেটের কুশিয়ারায়। এ কারণে ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ঢলের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন কুশিয়ারা তীরের মানুষজন। প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে- দুর্গম এলাকার লোকজন খাবার সঙ্কটে রয়েছেন।
এদিকে- সুরমার পানি কমছে। তবে- এখনো সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে। নগরের তালতলা, উপশহর সহ অন্তত ১০ এলাকার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সিলেট সদর সহ কয়েকটি উপজেলার পানি ধীরগতিতে কমছে। এসব এলাকায় এখন ভেসে উঠছে বন্যার ভয়াবহ চিত্র। আইজিপি বেনজির আহমদ কোম্পানীগঞ্জে ত্রাণ বিতরণে যাচ্ছেন।
কুশিয়ারার তা-বে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ। বালাগঞ্জ সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বালাগঞ্জ-তাজপুর সড়কের উপর কোথা কোথাও কোমরপানি। ৬টি উপজেলার ৮০ ভাগ এলাকা বন্যায় তলিয়ে গেছে। নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ। কুশিয়ারা তীরবর্তী ওসমানীনগরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ৯০ ভাগ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ওসমানীনগরের সাদিপুর, পশ্চিম পৈলনপুর, উমরপুর, উসমানপুরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। স্থানীয় লোকজন গ্রামে গ্রামে খিচুড়ি রান্না করে মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন। জকিগঞ্জ দিয়ে প্রবল বেগে নামছে উজানের ঢল। উজানে ভারতের আসামের শিলচরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার কারণে ঢল নামা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জকিগঞ্জের কুশিয়ারা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তারা জানার- ঢল নদী দিয়ে ঢুকে লোকালয় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এতে করে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন যাপন করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র মতে- সিলেটের জকিগঞ্জের অমলসীদ, বিয়ানীবাজারের শ্যাওলা, ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানিয়েছেন- আজ রাত পর্যন্ত ঢল নামতে পারে। এরপর পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।