বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহনগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, সরকার দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করে জাতিকে ধর্মবিমুখ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই আলেম-উলামাদের ওপর নির্যাতনসহ সরকার মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষাকে ঐচ্ছিক করে ধর্মহীন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নতুন প্রজন্ম ধর্মবিমুখ ও মূল্যবোধহীন হয়ে পড়বে।
তিনি অবিলম্বে সরকারের গৃহীত নতুন শিক্ষানীতি বাতিল, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে নতুন করে শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও কারাগারে অন্তরীণ সকল আলেমদের ঈদের আগেই নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় বিষয়টি রাজপথেই ফয়সালা করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত ধর্মহীন শিক্ষনীতি বাতিল ও শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যমূলক করা এবং ঈদের আগেই কারাবন্দি সকল আলেম-উলামাসহ জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ ওভারব্রিজ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা কলেজের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা: ফখরুদ্দীন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, ইয়াছিন আরাফাত, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ও জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য নাসির উদ্দীন, আব্দুল মান্নান, মিজানুল করীম, আব্দুল মতিন খান ও ডা: মাঈন উদ্দিন, ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর ও সাব্বির প্রমুখ।
তিনি বলেন, দ্বীনের প্রচার-প্রসার এবং দেশে ও জাতির কল্যাণে আলেম সমাজ অসামান্য অবদান রাখলেও সরকার দেশবরেণ্য আলেমদের ওপর জুলুম-নির্যাচন চালাচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন ও সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল খালেক ম-ল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ জামায়াতের অনেক নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে অন্তরীণ রেখেছে। সেলিম উদ্দিন আরো বলেন, মূলত সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে দেশবরেণ্য আলেম-উলামা ও জাতীয় নেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছে। তিনি সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে কারান্তরীণ আলেম-উলামাসহ জাতীয় নেতাদের ঈদের আগেই নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন। অন্যথায় জনতার নেতাদের জনতাই মুক্ত করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি