নীলফামারীর জলঢাকায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি সভায় অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চেয়ার ছুড়াছুঁড়িতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত ৮টায় জলঢাকার ডাকবাংলো মাঠে। নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর পর আগামী ৩০ জুলাই উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রস্তুতি সম্মেলন সভা চলাকালীন বর্তমান উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার নাম ঘোষণা করলে দল থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক সভাপতি আনছার আলী মিন্টুর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হকের উপস্থিতিতে অতর্কিত হামলা চালান। এতে প- হয়ে যায় প্রস্তুতি সভা এবং দুপক্ষের মধ্যে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। আহতদের জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ সোমবার স্থানীয় জিরোপয়েন্ট মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচীর ডাক দিলে প্রশাসনের বাঁধায় কোনপক্ষই এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। পুরো শহরে উত্তেজনা বিরাজ করায় আ’লীগ দলীয় কার্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা নেতাদের উপস্থিতিতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়ে উপজেলা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে উশৃঙ্খলদের কোনও জায়গা নেই। এর নেপথ্যে যারা কলকাঠি নাড়ছেন তাদের বহিষ্কারের দাবি জানান এই নেতা। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল জানান, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তৃতীয়পক্ষ এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়েছেন। এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে সাবেক এমপি ও বর্তমান উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা জানান, আগামী ৩০ জুলাইয়ের সম্মেলনকে বিনষ্ট করার জন্য সাবেক সভাপতি আনছার আলী মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেলের দলবল পরিকল্পিত ভাবে প্রস্তুতি সভায় হামলা চালিয়েছেন। আমি এ ন্যাক্করজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। আগামী ৩০ তারিখের সম্মেলন যাতে সফল হয় সে আশাই ব্যক্ত করি। এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হককে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে আনছার আলী মিন্টু সভাপতি এবং সহীদ হোসেন রুবেল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আনছার আলী মিন্টুকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।