বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি ফের বাড়ছে কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র নদী ভাঙন

শাহীন আহমেদ কুড়িগ্রাম :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ধরলা, তিস্ত্মা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ সব কটি নদ-নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। সব কটি নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে থাকলেও প্লাবিত হয়েছে চরা লের নিচু এলাকা। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদ-নদীর ভাঙন তীব্র রুপ নিয়েছে। দুধকুমারের ভাঙনে কালিগঞ্জ-নাগেশ্বরী সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়েছে। কুবরিয়ার পাড় এলাকায় পাকা সড়কটি ভেঙে গেলে নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ, নুনখাওয়া ও ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম পস্নাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, ভাঙন ঠেকাতে সেখানে আগে থেকে প্রস্তুত করা বালুর বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ভাঙনে চর যাত্রাপুরের বানিয়াপাড়ায় গত এক সপ্তাহে ১২টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানিয়েছেন, ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় চর যাত্রাপুর বেড়িবাঁধ ও যাত্রাপুর বাজার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, রসুলপুর ও রাউলিয়ার চরে নতুন করে ভাঙন শুর¤œ হয়েছে। গত দুদিনে ৫টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ধরলা নদীর ভাঙনে গত ৩ দিনে মোঘলবাসা ইউনিয়নের শিতাইঝাড় গ্রামের ২০টি পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে কয়েক একর আবাদী জমি। ভাঙনের শিকার সোনাব্দি মিয়া ও দছিম উদ্দিন জানান, ভাঙা ঘর কোথায় রাখবেন সে জায়গা না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। সদর উপজেলার সারডোব এলাকায় আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের অব্যাহত ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে আরডিআরএস বাজার ও চর সারডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছে। তিস্তার ভাঙনে চিলমারীর পাত্রখাতা সংলগ্ন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরে গত এক সপ্তাহে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো-পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্? দাখিল মাদ্রাসা, মন্ডলেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারীপাড়া মন্ডলের হাট নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়। নদী ভাঙনের শিকার বাহাউদ্দিন বলেন, ‘শত শত বস্ত্মাত বালু ভরে রাখচে, ঠিকাদার ফেলায় না। হামার ঘর বাড়ি সউগ নদীত চলি গেইল।’ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভাঙন ঠেকাতে ওই এলাকায় ৭০ হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ করা হয়েছে। গণনা শেষে দ্রত নদীতে ফেলা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com