ঢাকা-চট্টগ্রাম গজারিয়া অংশের মহাসড়কের দুই পাশের্^র ১৩ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দোকান, স্থাপনা, বনায়ন, ইট বালুর ব্যবসা, খাল ভরাট করে হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, বাড়িঘর করে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা, মার্কেট নির্মাণসহ অবৈধ দখলদারিত্ব চলছে দেদারছে। এসডিও, সার্ভেয়ার ও নক্সা কারকের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সড়ক ও জনপদের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা। ১৫টি রুম তুলে ভাড়া দিয়েছে, পাকা ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জামালদি স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বাউশিয়া ইউনিয়নের পাখির মোড় ও পুরাতন ফেরীঘাট পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশের্^ই অবৈধভাবে গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা চলছে দখলদারিত্ব। এপ্রোস সড়ক ও বনায়নের নামে প্রস্তাবিত ফাইল প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর নামেই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিনা অনুমতিতে খাল ভরাট করে হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, গ্যারেজ, দোকান ঘর, মুরগির ফার্মসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে তাদেরই ছত্র ছায়ায়। এদিকে খাল ভরাট করার কারণে পায়ে:নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ও ক্ষতিকারক মশা, মাছি ও বিভিন্ন রোগ জীবানু ছড়াচ্ছে। জামালদি বাসস্ট্যান্ড, হামদর্দ ইউনিভার্সিটি, ভাটেরচর বাসস্ট্যান্ড, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড, মধ্য বাউশিয়া (দরিবাউশিয়া), বক্তারকান্দি, চরবাউশিয়া বড়কান্দি, ফরাজিকান্দিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শতাধিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ভবেরচ বাস স্ট্যান্ডে অবৈধ দখল দারিত্ব বেড়েই চলছে। বালু ভরাটের সময় এসে তাদের থেকে মোটা অংকের টাকার সুবিধা নিয়ে জায়েজ করে দেন। অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সামনের সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন। এসডিও, সার্ভেয়ার হুমায়ুন, নক্সাকারক সুভাষ চন্দ্র দাস মিলে কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে লিজের ব্যবস্থা করে। যারা লিজ নেয় তাদের লিজের বিষয়টি নবায়ন না করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই গ্রুপটি। এই সুযোগে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। সড়ক-জনপদের এ সকল জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে তাদের কাছ থেকে মাসিক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই চক্রটি। বিভিন্ন মহল থেকে তাদের কাছে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখলের বিষয়ে তথ্য দিলেও কোন কর্ণপাত করেন না এসকল কর্মকর্তাগণ। চর বাউশিয়া ও পাখির মোড়ে অনেকগুলো অবৈধ স্থাপনা তৈরী করলেও এসডি সার্ভেয়ার, নক্সাকারক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে প্রতিনিয়ত চাঁদা নিয়ে যান। বড় বড় হোটেল, হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট, খাল ভরাট করে নতুনভাবে দখলের রাম রাজত্ব চলছে। গজারিয়া উপজেলার সংবাদকর্মীরা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ করলেও নাম কাওয়াস্তে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ না করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আঙ্গুল ফুলে কলা হচ্ছে এই তিন কর্মকর্তা। অবৈধ স্থাপনা তৈরীকারিদের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে সরকারি সম্পদ রক্ষা করে একের পর এক দখলের বানিজ্য চলছে। সার্ভেয়ার হুমায়ুন কবির জানান, আর্থিক লেনদেরে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। উচ্ছেদের বিষয়ে এসডি আছেন তার সাথে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। সড়ক ও জনপদের এসডি আবুল হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাবো। আমরা অফিসিয়ালভাবে নিয়মিত অবৈধভাবে যারা দখল করেছে তাদের উচ্ছেদের বিষয়ে নোটিশ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন প্রসিডিউর মেনেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হয়। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হয়। সকলের সহযোগিতা পেলেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। দখলদারদের থেকে মোটা অংকের আর্থিক অনৈক সুবিধা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি।