বর্তমান সময়ে জিম্বাবুয়ের সামনে বাংলাদেশের কোন স্কোরই এখন নিরাপদ নয়। তারই প্রমান চলমান ওয়ানডে ও গেলো টি-২০ সিরিজ। যারা নাকি টানা নয়টি বছর ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি। তারা এখন নিয়মতি হারাচ্ছে বাংলাদেশকে। তারপর আবার ৩০৩ রান ২৯০ রানকেও কোন পাত্তাই দিচ্ছেনা জিম্বাবুয়ে। এরপর সিকান্দার রাজা যা দেখাচ্ছে তাতে বিশ্ব ক্রিকেট আতঙ্কিত। নিয়মিত তিনি জলে উঠছেন। হচ্ছেন ম্যাচ সেরা। ওয়ানডেতে করছেন সেঞ্চুরি আর টি-২০ তে করছে হাফ সেঞ্চুরি। নিচ্ছে অনেক উইকেট। তারমানে তিনি বনে যাচ্ছেন বিশ্ব অলরাউন্ডার হিসেবে। তার কাছেই অসহায়ের মতোই হার মানতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশের দূর্বল বা নিন্মমানের বোলিং এবং বাজে ফিল্ডিংয়ের কারনেই প্রতিটি ম্যাচ হারতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। শুরুতে ৩-৪ উইকেটের পতন ঘটাতে পারলেও এরপর আর সে কাজটি কিন্তু করতে পারছেনা টাইগাররা। আর যখন পরবর্তী উইকেট পায় বোলাররা তখন আর দলের জয়ের প্রয়োজনে কোন কাজে আসেনা। কাজের কাজটি তখন প্রতিপক্ষ করে ফেলেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রথম দিকে দ্রুতগতিতে কিছুটা রান তুললেও শেষের দিকে নিজেদেরকে দলে টিকিয়ে রাখতেই প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন ব্যাটসম্যানরা। আর ফিল্ডিংয়ের সময় ক্যাচ মিসের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন তারা। যা দেশ ব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এতো ব্যর্থতাকে বা সমালোচনাকে কিছুই মনে করছেনা খেলোয়াড় ও বোর্ড কর্তারা। মাজখানে দেশের পরাজয়ে কষ্ট পাচ্ছে কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তরা। কি ভাবে দলকে আগলে রেখে জোরা সেঞ্চুরি করে সিকান্দার রাজা ও চাকাভা। রাজা কিন্তু রাজার মতোই দ্বায়িত্ব পালন করে চলছেন। নিজেও সেঞ্চুরি করছেন সতীর্থদেরকে সেঞ্চুরি করায় সমান তালে সহযোগিতা করছেন। মূলত শেষের ১০ ওভারে বাংলাদেশ দ্রুত রান না তুলতে পারায় পরাজয়ের আরেকটি কারন বলে অনেকের ধারণা। এই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আরো অনেক খেসারত দিতে হবে বাংলাদেশকে। ইতোমধ্যে দুটি সিরিজই হাত ছাড়া করেছে বাংলাদেশ। একটা সময় কিন্তু বোলাররাই ভালো করতো বাংলাদেশের। এখন দেখছি কিছুটা হলেও ব্যাটসম্যানরা ভালো করছে। বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে বাজে পারফরম্যান্স করছে। আর একটি নিয়ম রক্ষার ম্যাচ রয়েছে আগামীকাল। সেটিতে শুধু শান্তনার জয় পাক বাংলাদেশ এটাই চাচ্ছে এদেশের কোটি কোটি ক্রিকেট পাগলরা।