মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: হাতিয়ার ১৪ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি হাজারো মানুষ ভোটারদের গণজোয়ার দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই-দিদারুল আলম দিদার কালাইয়ের আহম্মেদাবাদ ইউপির বাজেট ঘোষনা কলমাকান্দায় সরকারি গোপাটের গাছ নির্বিচারে কাটার অভিযোগ ডোমার বিএডিসি বীজ আলু উৎপাদন খামারে ২শ একর জমিতে সবুজ সার ধৈঞ্চা চাষ শাহজালাল মাজারের ওরসে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হস্তান্তর করেছে সিসিক কুড়িগ্রামে জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জেলা পুলিশের গাছের চারা বিতরণ বীরগঞ্জে বিরল প্রজাতির মৃত নীল গাই উদ্ধার, দেখতে জনতার ভিড় ঝিনাইগাতীতে নবাগত ইউএনও’র মোঃ আশরাফুল আলম রাসেলের বরণ নেত্রকোনায় মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে দিনব্যাপী কর্মশালা

আসল রোগ আর্থিক খাতের সংস্কার হয়নি: দেবপ্রিয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বর্তমান রোগের একটি উপসর্গ মাত্র। আসল রোগ হলো বাংলাদেশের আর্থিক খাতের যথাযথ সংস্কার হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় একটি উত্তরণকালীন নীতি-সমঝোতা শীর্ষক’ সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধুমাত্র বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অর্থনীতির বর্তমান চাপ তৈরি হয়নি। দেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতার কারণে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশে দরিদ্র সরকার গত ১০ বছরে নিজের আর্থিক সংস্থান নিশ্চিত করেনি, যার অনিবার্য পরিণতি ভোগ করছে দেশ। যে কারণেই অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলা হোক না কেন, ২০২৪ শেষ হওয়ার আগে এই দুর্যোগ কাটবে না।
তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে আগামীতে রাজনৈতিক টানাপড়েন যাই-ই থাকুক না কেন অর্থনীতি তা থেকে মুক্ত থাকবে। অংশগ্রহণমূলক নীতি সমঝোতার জন্য বিরোধী দলের সঙ্গে, সরকারের রাজনৈতিক সহযোগী, সুশীল সমাজ, অর্থনীতি বিশেষজ্ঞসহ নানা পর্যায়ে আলোচনা করে দুই থেকে তিন বছরের একটি স্বল্প মেয়াদি কৌশল প্রণয়ন করা জরুরি। সরকারের এই মুহূর্তে তিনটি বিষয় করণীয় বলে উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, প্রথমত, সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা, দ্বিতীয়ত বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে উৎসাহ দেওয়া এবং তৃতীয়ত, অসুবিধাগ্রস্ত মানুষকে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে।
তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী ৬টি চ্যালেঞ্জের কথা বলেছিলেন। অর্থবছরের শুরুর দুই মাসের মধ্যে এর চারটি আরও তীব্র হয়েছে। বাজেটের পর অর্থনীতি নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। অনেকে বলছেন বৈশ্বিক কারণে এই পরিস্থিতি। আমি তাদের সঙ্গে আংশিক একমত হয়ে বলছি, শুধু বৈশ্বিক কারণে বললে এক ধরনের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। অর্থনীতির মূল ফুসফুস হলো আর্থিক খাত। বর্তমানে যে আর্থিক কাঠামো এবং সরকারের খরচ করার যে সক্ষমতা তা উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে সমর্থন দেওয়ার মতো নয়। সরকার এখন আর্থিক সম্পদ খুঁজে বেড়াচ্ছে। ভর্তুকি কমিয়ে দিচ্ছে। অথচ সরকারের আর্থিক সামর্থ্য থাকলে জ্বালানি তেলের এতো উচ্চ হারে দর বাড়িয়ে মানুষকে কষ্টে ফেলতে হতো না। ভর্তুকি কাঠামো পুনর্বিবেচনা করা দরকার। সার, বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসে ভর্তুকি দরকার। কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে সেটা খারাপ ভর্তুকি। জ্বালানি তেলের ভর্তুকি কমিয়ে বড় অংকের ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া ভুল পদক্ষেপ। দেবপ্রিয় বলেন, ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে শুধু তা দিয়ে পুরো পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে মোকাবিলা করা যাবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার। বৈশ্বিক পরিস্থিতি সব দেশকে আঘাত করেছে। কিন্তু অনেকেই এই পরিস্থিতি যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com