ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসের পৃথিবী। একের পর এক দেশ থেকে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন তিনি। জনতার ক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। প্রথমে যান মালদ্বীপ। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর। তারপর মধ্যপ্রাচ্যে আশ্রয় চাওয়ার বাসনা ছিল তার। কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া পাননি। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আর আশ্রয় চাননি। সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে দু’দফা তার ভিজিট ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির পর গতকাল বৃহস্পতিবার উড়াল দিচ্ছেন থাইল্যান্ডে। ভিসা অন অ্যারাইভাল বা পৌঁছামাত্র ভিসা দেয়ার কথা তাকে। সেই ভিসার মেয়াদ হবে ৯০ দিন। থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গোটাবাইয়াকে মানবিক কারণে তার দেশে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। এখানে ৯০ দিনের ভিসার মেয়াদ শেষ হবে নভেম্বরে। তারপর? তারপর গোটাবাইয়া কি করবেন? তিনি আবারও কি কোনো দেশে অস্থায়ীভাবে ভেসে বেড়াবেন? নাকি দেশে ফিরে যাবেন?
অনলাইন ডেইলি মিরর খবর দিয়েছে, থাইল্যান্ডে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হবে নভেম্বরে। এরপর দেশে ফিরে আসতে হবে সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে। কারণ, তার সামনে অন্য কোনো দেশে অস্থায়ী এমন আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ ফুরিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলেছেন, সিঙ্গাপুর থেকে আজ বৃহস্পতিবারই থাইল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। তবে কোনো দেশেই তিনি আশ্রয়ের প্রার্থনা করেননি।
বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা বিদেশি মিডিয়ার কাছে নিশ্চিত করেছেন যে, মানবিক কারণে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে রাজাপাকসেকে। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তার এই অবস্থান হবে শুধু অস্থায়ী ভিত্তিতে। ওদিকে ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টের পক্ষে সরাসরি আবেদন করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তাকে থাইল্যান্ডে অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার অনুমতি চেয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতায় প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে। তিনি রাজাপাকসে পরিবারের ঘনিষ্ঠ। ফলে ক্ষমতায় তাকে দেখা হয় রাজাপাকসে পরিবারের ছায়া হিসেবে। অবশেষে সেই প্রমাণও দিলেন প্রেসিডেন্ট রণিল। কারণ, রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে, সরকার গোটাবাইয়াকে অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার জন্য থাই সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে।