শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

ববংবংকে নিয়ে পরাশক্তির টানাটানি

মো: বজলুর রশীদ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২

ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের পুত্র ফার্দিনান্দ বংবং মার্কোস জুনিয়র চলতি বছর ৯ মে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছেন। তার পিতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মার্কোস সিনিয়র তার মা ইমেলদা মার্কোসকে ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে চীনে পাঠিয়েছিলেন। ইমেলদা মার্কোস মাও সেতুং-এর বড় অনুরাগী ছিলেন। তিনি মাওয়ের সাথে দেখা করেন। মাও তখন ৮১ বছর বয়সী, দুর্বল এবং অসুস্থ। দেখা হলে ইমেলদা মাওয়ের গালে হাত রাখেন। আশ্চর্যজনকভাবে, মাও ইমেলদার হাতটি তার ঠোঁটের কাছে রেখেছিলেন এবং একটি ক্লাসিক পাশ্চাত্য অঙ্গভঙ্গিতে হালকাভাবে চুম্বন করেছিলেন।
তরুণ মার্কোস জুনিয়র ওরফে বংবং মায়ের পাশেই ছিলেন। মাও ইমেলদার হাতে চুমু খাওয়ার পর মার্কোস জুনিয়রও মাওয়ের কাছে গিয়ে তার গালে চুমু খান। আজ ৪৮ বছর পর, সেই তরুণ এখন ফিলিপাইনের শাসক। সম্ভবত একমাত্র বিশ্ব নেতা যিনি মাও সেতুংকে চুম্বন করেছেন। সেই চুম্বন কি এখনো কোনো উষ্ণতা ছড়াচ্ছে? মার্কোস জুনিয়র কি প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের চীনপন্থী নীতি অনুসরণ করবেন?
উষ্ণ বন্ধনের জন্য চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বড় ধরনের সফর শেষ করেছেন সদ্যই। ওয়াং-এর সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে ফিলিপাইনের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সাথে আলোচনা। ওয়াং জানান, ‘এই সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে চীন-ফিলিপাইনের সম্পর্ককে চীন যে গুরুত্ব দেয় এবং নতুন ফিলিপাইন সরকারের প্রতি সমর্থনের পাশাপাশি ফিলিপাইনের প্রতি চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ নীতির ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতাকে শানিত করা।’ এই উদ্দেশ্য সামনে রেখে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তে (প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের মেয়ে), পররাষ্ট্র সচিব এনরিকে মানালো এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ক্লারিটা কার্লোসের সাথেও গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলেছেন। তিনি মিডিয়ায় বলেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের সময় দুই দেশ কিভাবে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিহাসে একটি নতুন পাতা তৈরি করেছিল তা সবার দেখা উচিত।
চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কিশান, যিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শীর্ষ সহযোগী, মার্কোস জুনিয়রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ওয়াংয়ের এই সফর। ফিলিপাইন মার্কিন মিত্র হলেও চীন নতুন ফিলিপিনো প্রেসিডেন্টের অধীনে চলমান কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে বেশ সচেতন।
পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের বিপরীতে, যিনি বারবার চীনের পক্ষে আমেরিকার সাথে ফিলিপাইনের জোট ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিলেন, মার্কোস জুনিয়র যেকোনো পশ্চিমা-বিরোধী বক্তব্য এড়িয়ে গেছেন এবং দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধের বিষয়েও প্রাথমিকভাবে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে নতুন ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন এবং আরো অন্তত তিনজন উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করেছিলেন।
মার্কোস জুনিয়র একটি মাল্টিভেক্টর পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন যা কৌশলগত। এটি দুতের্তের বিপরীত। দুতের্তে পশ্চিমা নেতাদের সমালোচনা করতেন এবং চীন ও রাশিয়ার প্রচ- সমর্থক ছিলেন। নতুন ফিলিপিনো রাষ্ট্রপতি আমেরিকার সাথে বৃহত্তর কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককেও স্বাগত জানিয়েছেন। আর বাইডেন হলেন প্রথম বিদেশী নেতা যিনি অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান যেকোনো আইনি সমস্যার বিরুদ্ধে আশ্বস্ত করেছেন এবং হোয়াইট হাউজ পরিদর্শন করার সংবাদ দিয়েছেন। বংবং-এর লক্ষ্য প্রধান শক্তিগুলোর ওপর সর্বাধিক সুবিধা অর্জন এবং ন্যূনতম নির্ভরতা নিশ্চিত করা।
নির্বাচনী প্রচার ও টেলিভিশন বিতর্কে দেখা গেছে, মার্কোস জুনিয়র, কখনো স্পষ্টভাবে কোনো ইশতেহার প্রকাশ করেননি এবং পররাষ্ট্রনীতির ওপর স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘পরাশক্তিগুলো যা-ই করুক না কেন, ফিলিপাইনের স্বার্থের মধ্যে থেকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা নিজেদেরকে অন্য দেশের পররাষ্ট্রনীতির অংশ হতে দিতে পারি না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে তার দেশ ‘কোনো দেশের কাছে এক বর্গ ইঞ্চিও হস্তান্তর করবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘মার্কিন-ফিলিপাইন জোট একশত বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের ভালো অবস্থানে রেখেছে এবং এটি ফিলিপাইনের মানসিকতা থেকে কখনো অদৃশ্য হবার নয়।’ একই সঙ্গে তিনি চীনের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেবেন। মনে হচ্ছে তিনি দুই কূল রক্ষা এবং সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয় এমন নীতি মেনে চলবেন।
দুতের্তের সমর্থন মার্কোস জুনিয়রের জয় নিয়ে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দুতের্তের সম্পর্ক ভালো ছিল না। ২০১৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই চীন সফরে এসে দুতের্তে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘হেরে গেছে’। ফিলিপাইন সামরিক ও অর্থনীতির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘বিচ্ছেদ’ ঘোষণা করে চীন ও রাশিয়ার সাথে কাজ করে অন্য বিশ্ব শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালনকালে তিনি একবারও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেননি। এই অঞ্চলে একটি নতুন স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যে, ওয়াশিংটন এবং বেইজিং উভয়েই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের কৌশলগত পদচিহ্ন উন্নত ও শক্তিশালী করার জন্য মালাকানাং প্যালেসে নতুন ব্যক্তির সাথে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করে চলছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে, মার্কোস সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রথম ফিলিপিনো রাষ্ট্রপতি হিসাবে হোয়াইট হাউজ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চীনা মিডিয়া তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে ভদ্র কূটনীতিক এবং আদর করে ‘রৌপ্য শিয়াল’ নামেও ডাকে। ওয়াং এক দশক ধরে সাফল্যে ও সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। তিনি এশিয়ার রাজনীতিতে বিশেষজ্ঞ। ফিলিপাইন-চীন সম্পর্কের এই রূপান্তরকে সম্ভবত তার অন্যতম প্রধান কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে দেখা যেতে পারে। গত এক দশক ধরে, ওয়াংকে ম্যানিলার পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সাথে লড়াই করতে হয়েছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বেনিগনো অ্যাকুইনোর সময় দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধে বেইজিংকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এক পর্যায়ে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এতটাই বিষাক্ত হয়ে ওঠে যে চীনা নেতারা তাদের ফিলিপিনো সমকক্ষদের সাথে দেখা করতেও অস্বীকার করতেন।
২০১৬ সালে বেইজিংপন্থী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর সাথে ম্যানিলার সম্পর্কের অবসান ঘটায়। তিনি বেইজিং ও মস্কোর সাথে আরো শক্তিশালী কৌশলগত প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তোলেন, ওয়াশিংটনের সাথে ফিলিপাইনের প্রাচীন জোট অনেকটা বাতিল করে দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান, যারা ফিলিপাইনে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল এবং দখল করেছিল, ওয়াং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তার দেশ ‘পুরনো প্রধান শক্তিগুলোর উপনিবেশ ও লুণ্ঠনের পুরনো পথ অনুসরণ করবে না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের একমাত্র পছন্দ বন্ধুত্ব।’ নতুন ফিলিপিনো রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যে তার পূর্বসূরির পররাষ্ট্রনীতি পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, দক্ষিণ চীন সাগরের বিষয়ে আরো আপসহীন অবস্থান নেয়া, এমনকি তিনি বিতর্কিত এলাকায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনেরও হুমকি দিয়েছেন এবং ২০১৬ সালে দ্য হেগের একটি সালিশি প্যানেলে জিতে যাওয়ার কথাও পুনরাবৃত্তি করেছেন।
অনেক নির্বাসিত নেতা স্বদেশ ছাড়লেও তাদের নামের প্রভাব রাজনীতিতে রয়েই যায়। প্রেসিডেন্ট মার্কোস তাদের একজন। ফিলিপিনে ১৯৮৬ সালে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠা এক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর ফার্দিনান্দ মার্কোসের বিরুদ্ধে প্রবল গণবিক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের পরামর্শে মার্কোস পদত্যাগ করে হাওয়াইতে নির্বাসিত জীবন বেছে নেন। মার্কোসের শাসনকাল ছিল বিরোধীদের রাজনৈতিক হত্যাকা-, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি ও দারিদ্র্যের মধ্যেও ক্ষমতাসীনের বিলাসী জীবন যাপনের অভিযোগে ভরা। প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ইমেলদা মার্কোসের জুতার সংগ্রহ এখনো কিংবদন্তি হয়ে আছে। হাওয়াইতে ফার্দিনান্দ মার্কোস মারা যান ১৯৮৯ সালে।
মার্কোস সিনিয়র দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ক্ষয়িষ্ণু ছিলেন। তার রাজনৈতিক বিরোধিতাকারীদের নির্মমভাবে দমন করতেন। ১৯৮৬ সালে হাওয়াইতে নির্বাসনে যাওয়ার পর, নির্বাচিত ফিলিপাইন সরকার হিসাব করেছিল যে, মার্কোস পরিবার এবং তাদের কর্মচারীরা জাতীয় কোষাগার থেকে আনুমানিক ৫ থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করেছিলেন। তবুও বংবং নির্বাচিত হলেন। কিছু ফিলিপিনো এবং বিশ্বের অনেকে ফিলিপিনোদের এই স্মৃতিভ্রংশ অথবা ক্ষমা করে দেয়াকে যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। নতুন ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককেও স্বাগত জানিয়েছেন। যার মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের সদ্য চালু হওয়া ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে ফিলিপাইনের সদস্যপদ রয়েছে, যার লক্ষ্য এই অঞ্চলে চীনের অর্থনৈতিক উদ্যোগকে বাধা দেয়া বা থামিয়ে দেয়া। বংবং-এর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চীনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। মার্কোস জুনিয়র তার শীর্ষ বিভাগগুলোর নেতৃত্বে প্রবীণ এবং ঐতিহ্যগতভাবে মনস্তাত্ত্বিক প্রবীণদেরও নিয়োগ দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীল সম্পর্ক থেকে সর্বাধিক সুবিধা বের করার চেষ্টা করবেন। তবে বংবং এর প্রশাসনের চীন নীতি পূর্বসূরি রদ্রিগো দুতের্তের অনুরূপ হবে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। বংবং বারবার চীনের প্রশংসা করছেন এবং প্রচারাভিযানের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উপহাস করেছিলেন। বলা যায়, তার পররাষ্ট্রনীতি একটি পূর্বনির্ধারিত উপসংহার, তার নতুন প্রশাসন বেইজিংয়ের দিকে দৃঢ়ভাবে ঝুঁকবে। পশ্চিমা গণমাধ্যম বংবংকে নেতিবাচকভাবে প্রচার করলেও তার ৩১ মিলিয়ন ভোটের অপ্রতিরোধ্য জয়, তার চ্যালেঞ্জারের দ্বিগুণেরও বেশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে নতুন প্রশাসনের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি জারি করতে বাধ্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে যে নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাবা মার্কোস বংবংকে অলস ছেলে বলে ডাকতেন। কেননা বংবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ডিগ্রি সম্পন্ন করেননি, তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষা লাভ করেছেন। তিনি তার পূর্বসূরির তুলনায় চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পথ গ্রহণের সম্ভাবনা দেখছেন। চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই আসিয়ান দেশগুলোর ওপর জয়লাভের চেষ্টা করছে, মার্কোস জুনিয়র উভয় বিশ্বে সেরা হওয়ার সুযোগ খুঁজছেন।
ওয়াশিংটন ফিলিপাইনে একটি বর্ধিত সামরিক উপস্থিতি চায় এবং চীন ফিলিপাইনের সামরিক ও কৌশলগত অবকাঠামোতে আরো বেশি বিনিয়োগ চায়। মনে হচ্ছে, ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট নতুন স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যে উভয় পরাশক্তির সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশল গ্রহণ করেছেন যা বিশ্লেষণে আরো সময়ের প্রয়োজন। লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com