সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মনিরের মৃত্যুবাষিকী স্মরনে মানিকগঞ্জে নানান কর্মসুচী পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় নিমিত স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব,তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি পরিষদ, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া রেল লাইন বাস্তাবায়ন আন্দোলন কমিটি ও বারসিকসহ বিভিন্ন সংগঠন। এর আগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুর্ঘটনাস্থলে নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, ঘাতক নিমূল কমিটি মানিকগঞ্জ শাখার সভাপতি এডভোকেট দীপক কুমার ঘোষসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা নিহত তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে তাদের স্মরনে একটি ভাষ্কর্য নির্মান ও ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া সড়কে রেল লাইনের দাবী জানান। মানববন্ধন শেষে বানিয়াজুরী এলাকায় তারেক মাসুদ-মিশুক মুনির স্মরনে স্মৃুতিচারন মুলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গাছের চারা রোপন করা হয়। উল্লেখ্য,২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট সকালে কাগুজের ফুল সিনেমার সুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন প্রখ্যাত চলচিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, বিশিষ্ঠ সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ ৯ জনের একটি দল। পথিমধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক এলাকায় তাদের বহনকৃত মাইক্রোবাসটি পৌছালে বিপরীত গামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহরে বাসের সঙ্গে সংর্ঘষ বেধে যায়। এসময় মাইক্রোস বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। মাইক্রো বাসের ভেতরে থাকা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ প্রডাকশন সহকারী ওয়াসিম,জামাল এবং মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ৫জন নিহত হন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।