মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড: ছয় লাশ উদ্ধার

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস লেন এলাকায় প্লাস্টিক কারখানা ও গোডাউনে আগুন লাগা ভবনের দোতলায় এক কোনায় ছয়টি মরদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তার ভাই বিল্লাল দোতলায় ঘুমাতেন। তিনি আগুনে আটকা পড়েছেন। পরে গলির ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঁকি গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া বরিশাল হোটেলের ঠিক ওপরের রুমটিও পুড়ে গেছে। রুমের এক কোনায় কেউ বসে থাকা অবস্থায় পুড়ে গেছেন।এ সময় আব্দুল্লাহ ‘আমার ভাই, আমার ভাই’ বলে কান্না করতে থাকেন। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী মই দিয়ে উপরে উঠে দোতলার জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে চারটি মরদেহ দেখা গেছে বলে নিশ্চিত করেন। এদিন দুপুর ১২টার দিকে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর ২টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে আগুন লাগা কারখানার ভবনসহ আশপাশের সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে দেখি আশপাশের অনেক ভবনেই যত্রতত্র এ রকম বিভিন্ন ধরনের কারখানা গড়ে উঠেছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। একদিকে ঘিঞ্জি এলাকা অন্যদিকে এসব কারখানায় যখন-তখন যেকোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পাশাপাশি অনেক ভবনে মানুষ বাসও করছেন। তাদের জন্যই ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আগুনের সূত্রপাত ঠিক কীভাবে সেটা এখনো নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। আমরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তারপর জানতে পারবো আসলে কীভাবে আগুন লেগেছে। তবে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জাগো নিউজকে বলেন, পাশের ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং সেখান থেকে চারতলা ভবনের নিচতলায় থাকা হোটেলে আগুন লাগে। সেখান থেকে প্রচ- বাতাসে ভবনের চারতলায় প্লাস্টিক কারখানায় ও গোডাউন যে তলায়, সেখানে আগুন লেগে যায়।
আশপাশের সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ: রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস ঘাটে আগুন লাগা কারখানার ভবনসহ আশপাশের সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে দেখি আশপাশের অনেক ভবনেই যত্রতত্র এ রকম বিভিন্ন ধরনের কারখানা গড়ে উঠেছে, যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। একদিকে ঘিঞ্জি এলাকা অন্যদিকে এসব কারখানায় যখন-তখন যেকোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পাশাপাশি অনেক ভবনে মানুষ বাসও করছেন। তাদের জন্যই ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আগুনের সূত্রপাত ঠিক কীভাবে সেটা এখনো নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। আমরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তারপর জানতে পারবো আসলে কীভাবে আগুন লেগেছে।
তবে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, পাশের ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং সেখান থেকে চারতলা ভবনের নিচতলায় থাকা হোটেলে আগুন লাগে। সেখান থেকে প্রচ- বাতাসে ভবনের চারতলায় প্লাস্টিক কারখানায় ও গোডাউন যে তলায়, সেখানে আগুন লেগে যায়।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর ২টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জাগো নিউজকে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালিদা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, চকবাজার কামালবাগের দেবীদাস ঘাটের একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। পরে আগুন একটি রেস্তোরাঁয়ও ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ১২টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ১২টা ৯ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ও পরে আরও চারটি ইউনিট পাঠানো হয়। এদিকে স্থানীয় ও উৎসুক জনতার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। মাইকিং করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলেন, ‘আপনারা প্লিজ সরে যান, দূরে যান। আমাদের আগুন নেভাতে দেন।’ এরপরও সেখানে মানুষের জটলা কমছে না। কেউ দাঁড়িয়ে আগুন দেখছেন, কেউ ভিডিও করছেন, কেউ আবার ফেসবুকে লাইভ করছেন। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com