রাজপথ দখলে আনতে বিএনপি কতটা সাহসী, তা ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রনহীন দ্রব্যমূল্য’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজক ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম’। গয়েশ্বর বলেন, ‘রাজপথ দখলে আনতে আমরা কতটা সাহসী, কী উদ্যোগ গ্রহণ করলাম, তা প্রত্যেকে ভাবতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই সরকার বলছে, আমরা ষড়যন্ত্র করছি। কথাটি যদি আমরা ঘুরিয়ে বলি, এই সরকারকে যদি ক্ষমতা থেকে আমরা সরিয়ে না দিতে পারি, তবে তা হবে সরকারকে ক্ষমতায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা। এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের এখন দায়িত্ব।’
গয়েশ্বর বলেন, দেশে এখন সংকট একটাই। যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, আইনের শাসন, সুশাসন, মানুষের মতপ্রকাশ, বিরোধী দলের অধিকারে বিশ্বাস করে না, তারাই দীর্ঘদিন থেকে ক্ষমতায়। এ অবস্থায় তাদের লড়াই অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে করতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, জনগণকে ভোটের অধিকার দিলে তারা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে। কিন্তু এ অধিকার জনগণ তো আর ফিরিয়ে আনবে না। এ অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মেদ আজম খান। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই সরকারের ওপর জনগণের আর কোনো আস্থা নেই। তাই তারা দিনের ভোট রাতে কেড়ে নিয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাহায্য চায়। আজম খান বলেন, ‘এখন যদি বাসে, ট্রেনে বা রিকশায় ওঠেন, তবে শুনবেন, কেউ এই সরকারকে আর চায় না। যদি ভোট হয়, সবাই ধানের শীষে ভোট দেবেন। তবে বিএনপি এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে যাবে না।’ বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা আহমেদ আসলাম। সভায় বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম, বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।