বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী লালমনিরহাট জেলার উন্নয়নের রুপকার আলোকিত লালমনিরহাটের সপ্নদ্রষ্টা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, এ সরকারকে আর কোন দফা নয়-শুধু একদফা শেখ হাসিনার পতন চাই শেখ হাসিনার অধিীনে কোন নির্বাচন হবেনা, হতে দেয়া যাবেনা সেজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে হাতে লাঠি নিয়ে এ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথ দখলে রাখতে হবে। গতকাল সদর উপজেলার বগবাড়ীতে পৌর বিএনপি আয়োজিত নিত্যপন্যের উর্দ্ধগতি গুম খুনের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পৌর যুবদলের আয়োজনে চাল ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি সারাদেশে গুম খুন মিথ্যা মামলায় হয়রানী ও শেখ হাসিনার পতনের দাবীতে সকাল ১১টায় বড়বাড়ীতে এ বিক্ষোভ ও প্রবিাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ব্এিনপির কেন্দ্রিয় রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে প্রায় ৫০ হাজার বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়। বড়বাড়ী বিএনপি কার্যালয় হতে মিছিল বের হয়ে পুরো এলাকা প্রদক্ষিন শেষে কুড়িগ্রাম রংপুর মহাসড়কের শিমুল তলা মোড়ে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেষে অন্য্যাদর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা,সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মমিনুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন সেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি সম্পাদক আবু ইয়াহিয়া ইউনুস ও আব্দুস সাত্তার ও ফারুখ সিদ্দিকসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুল হাবিব বলেন, বাংলাদেশের পরামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বেহেস্তে আছি, এ দেশের মানুষ নাকি বেহেস্তে আছে এ বক্তব্যের উদ্দেশ্যে দুলু বলেন, যে বেহেস্তের জন্য দেশের মানুষ এত নামাজ এত কালাম এত রোজা করে তা কি দেশের জন্য করে নাকি? যে দেশের মন্ত্রী বেহেস্ত দোযখ চেনেনা সে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারেনা, তাকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবেনা। এ সরকারের পররাষ্টমন্ত্রী ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যা করা দরকার তার জন্য ভারত সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করে আসছেন এমন বক্তব্যের জবাবে দুলু বলেন, কাকে ক্ষমতায় রাখবে আর কাকে ক্ষমায় রাখবেনা তা নির্বাচন করবে এ দেশের জনগন এবং তা নির্বাচিত হবে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধিীনে নির্বাচনের মাধ্যমে। আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, পররাষ্টমন্ত্রীর ভারত সফরে গিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করার বক্ত্যব্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ভাইরাল হলে এ অ্ৈবধ সরকারের সব মন্ত্রী ও নেতারা এখন ভুল বকছেন-মানুষ কখন ভুল বকে যখন ঠ্যালায় হগে-যখন রাস্তা ভুলে যায় তখন মানুষ ভুল বকে। পররাষ্টমন্ত্রীর আমরা বেহেস্তে আছি ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করার বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আওয়ামীলীগের সকল মন্ত্রী ও নেতারা ভুল বকছেন,তারা বলছেন পররাষ্টমন্ত্রী নাকি তাদের দলের কেউ নয়, তিনি বলেন, পররাষ্টমন্ত্রীকে এটা শেখ হাসিনার শেখানো বুলি সরকার প্রধানের নিদেীশ ছাড়া কোন মন্ত্রী এরকম বক্তব্য দিতে পারেনা আর যদি তা না হয় তালে অবিলম্বে পররাষ্টমন্ত্রীর পদত্যাগ করাতে হবে। এ প্রসংঙ্গে দুলু বলেন তাহলে পররাষ্টমন্ত্রী আওয়ামীলীগের এমপি হলেন কিভাবে আর শপথ নিলেন কিভাবে-এদেশের মানুষকে আওয়ামীলীগ বোকা মনে করে নাকি? সাবেক উপমন্ত্রী দুলু বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার মন্ত্রী বলেন আমার নেতা বঙ্গবন্দুকে যেন আল্লা জাহান্নামের সব চেয়ে ভাল জায়গায় দেন। এ প্রসঙ্গে দুলু বলেন ওরা ওদের নেতাকে জাহান্নামে পাঠাতে চায়, এতে আমাদের দোষ কি? ওদের সব মন্ত্রী এখন ভুল বক্তব্য দিচ্ছে কিন্তু আমাদের বক্তব্য পরিস্কার- এ সরকারকে আর দফা দিয়ে লাভ নেই, দফা আমাদের একটাই- শেখ হাসিনার অধীনে বাংলার মাটিতে কোন নির্বাচন হবেনা হতে দেয়া যাবেনা। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে দুলু বলেন, আপনারাও বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা আপনাদের নেত্রী,শেখ হাসিনা আপনাদের নেত্রী না, তিনি আওয়ামীলীগের নেত্রী, আপনারা তাকে প্রথানমন্ত্রী বলবেন। অনেক খেলা দেখিয়েছেন, শেখ হাসিনার হয়ে নির্বাচনে কারচুপিতে সহযোগিতা করে ক্ষমতায় রেখেছেন। তিনি বলেন আপনারা শংশোধন হয়ে যান, নতুন করে কিছু দেখাতে ্আসবেন না, অনেক করেছেন দোহই লাগে এখন একটু ক্ষান্ত হোন কেননা বাংলার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতিতে জনজীবন বিপন্ন হতে চলেছে, এদশের মানুষের ধৈয্যের বাধ ভেঙ্গে গেছে যে কেন সময় বিস্ফোরন ঘটে যেতে পারে তাই বলছি আর আমাদের মিছিলের সামনে আসার চেষ্টা করবেন না। আমাদের একটা নেতাকর্মীকে আটক করে জেলখানায় নিলে জেলখানা ঘেরাও করা হবে। বরগুনার ঘটনা তুলে ধরে সরাষ্টমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দুলু বলেন,ছাত্রলীগের দুইগ্রুপে মারামারি থামাতে পুলিশ প্লাষ্টিকের লাঠি দিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের মারধরের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরমকে তাৎক্ষনিক বদলী করেছেন কিন্তু ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত নুর আলম ও কে গুলি করে মেরে ফেলা হল সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলেন না, আপনাদের উপর নামমাত্র লাঠি ব্যবহার করলে পুলিশের বদলী হয় আর আমাদের গুলি করে মেরে ফেললে কোন বিচার হয়না। আর অন্যয় অবিচার করার সুয়োগ আপনাদেরকে দেয়া হবেনা, সেজন্য তিনি এসরকারে জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্তহাতে লাঠি ধরে রাজপথে আন্দোলনে থাকার আহবান জানান।