মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর এলাকায় ৫ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনটির মাধ্যমে অন্তত সাড়ে তিন হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ চলতো বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিএম রাশেদুল ইসলামের উপস্থিতিতে কফিল উদ্দিনের পুত্র হযরত আলীকে অবৈধ গ্যাস লাইনের চালানোর অপরাধে ৫০০০টাকা জরিমানা ধার্য্য করে এবং অনাদায়ে দুই বছরের জেলের বিধান দেয় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। বাটের চর, আনারপুরা, বৈদ্যেরগাও, মিরেরগাও, উত্তর শাহপুর, মাথাভাঙ্গা এলাকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার অবৈধ গ্যাস লাইন চালিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। দীর্ঘদিন পরে হলেও অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় গজারিয়া সচেতন সাধারণ জনগণ খুশি হয়েছে। আরো অবৈধ রাগোব বোয়ালদের অবৈধ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা উচিত বলে মনে করছেন তারা। পাঁচ কিলোমিটারের অবৈধ পাইপগুলো ছিল তিন ইঞ্চি ও ২ইঞ্চি। সোমবার (২৯আগস্ট) সকালে গজারিয়া উপজেলার মধ্য ভাটেরচর এলাকা থেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান শুরু করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়েৎেছ তিতাস কর্তৃপক্ষ। এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাসের সোনারগা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম, সোনারগাঁও আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মেজবাউর রহমান, মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান। তিতাস গ্যাসের সোনারগা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম বলেন, গজারিয়া উপজেলার জামালদী এলাকার সামুদা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে উচ্চচাপ বিশিষ্ট একটি বিশেষ সংযোগ দিয়েছিল তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা লাইনে আগের মত প্রেশার পাচ্ছেন না। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে অবৈধ এই লাইনটির সন্ধান পান তারা। মধ্য ভাটেরচর এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিশ্বদ্রোন ভাটেরচর হয়ে বৈদ্দারগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল লাইনটি যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। এই লাইনটির মাধ্যমে অন্তত সাড়ে তিন হাজার সংযোগ চালু ছিল বলে ধারণা তাদের। গজারিয়া উপজেলায় আরো যে সকল অবৈধ গ্যাস লাইন চালু রয়েছে সেগুলো বিচ্ছিন্নকল্পে পর্যায়ক্রমিকভাবে তাদের অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।