সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছেন, একজন ভালো আইনজীবী হতে হলে পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। নতুন আইনজীবীদের সব সময় বই পড়তে হবে। সব বিষয়েই ধারণা থাকতে হবে। বই কেনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তিগত লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, সিনিয়রদের তরফে জুনিয়রদের নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতে হবে। না হলে বার সমৃদ্ধ হবে না, আর বার সমৃদ্ধ না হলে ব্যাঞ্চও সমৃদ্ধ হবে না। এভাবে বার ও ব্যাঞ্চে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিচার কাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনয়াতনে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের উদ্যোগে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লইয়ার্স কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিচারপতি ফরিদ আহমেদ। ঢাকা বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন ও লইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন লইয়ার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন মিঠু, ল-ইয়ার্স কাউন্সেলের কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. গোলাম রহমান ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম খন্দকার, ল-ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মঈন উদ্দিন, কাউন্সিলের প্রচার ও আইটি সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, অফিস সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বাক্কার সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান। হাইকোর্ট বিভাগে নতুন তালিকাভুক্ত আইনজীবীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বার এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সিলেট বারের অ্যাডভোকেট আবদুর রব, অ্যাডভোকেট রেজাউল হক রিয়াজ, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রাসেল, অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান, অ্যাডভোকেট মুনতাকা নুসরাত খান, কুমিল্লার অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন সুজা, অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বার থেকে হাইকোর্টে তালিকাভুক্ত হওয়া বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি একটি নবীন-প্রবীনের মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ তালিকাভুক্ত আইনীবীদের ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন। পরে তারা ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, একজন ভালো আইনজীবী হতে হলে পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই। নতুন আইনজীবীদের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বই পড়তে হবে। সব বিষয়েই ধারণা থাকতে হবে। বই কেনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তিগত লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজেকেই মামলা পরিচালনা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
সিনিয়রদের সহযোগিতা নেয়া যাবে শুধু বোঝার জন্য। আর সিনিয়রদেরও জুনিয়রদের সহযোগিতা করতে হবে। সিনিয়রদের তরফে জুনিয়রদের নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতে হবে। এভাবে বার ও ব্যাঞ্চে পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আইনবিষয়ক পড়াশুনা আরো প্র্যাকটিকেলধর্মী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রফেশনে জয়েন
করার পরই মূলত: পড়াশুনা শুরু হয়। নবীনকে মনে রাখতে হবে গোলাপ পেতে হলে বিছানা ছাড়তে হবে। আর বিছানা পেতে হলে গোলাপ ছাড়তে হবে। বিচারপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, যারা এখানে নতুনযুক্ত হলেন এটা শুরু মাত্র। তারা একটি বিশাল সাগরে এসে পড়লেন। এখন প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। আর অবশ্যই নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে, নীতিভ্রষ্ট হওয়া যাবে না। সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, ইসলাম হচ্ছে মানুষের জন্য পরিপূর্ন জীবন বিধান। আল্লাহর হুকুমে পরিচালিত মুমিনের প্রতিটি কাজই হচ্ছে ইবাদত। সততার সাথে আইন পেশায় টিকে থাকার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি