লেখক অসীম হিমেলের ৩য় উপন্যাস ‘মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা’ বই বিক্রির লভ্যাংশের পুরো টাকা গাজীপুরের কালীগঞ্জ রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ (আর.আর.এন) পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লেখক অসীম হিমেলের উপস্থিতিতে ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের হাতে নগদ ৩ হাজার টাকা, লেখকের লেখা উপন্যাস ‘মধ্যরাতের অভিযান’ ও ‘মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা’, শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়াও লেখকের লেখা ৫টি উপন্যাস বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের জন্য দেওয়া হয়। এ সময় কালীগঞ্জ আর.আর.এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে.এম নুরুল ইসলাম আল-মোশারফ ইবনে কাদের, শিক্ষক শফিকুল আলম, ইকবাল হোসেন চৌধূরী, মছিহুর রহমান, হাফিজউল্ল্যাহ, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এম.এ রাজ্জাক, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রমজান আলী, আশরাফুল হক সোহেল প্রমুখ। জানা গেছে, অসীম হিমেল গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বালীগাঁও গ্রামে ১৯৮১ সালের ৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলার কালীগঞ্জ রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ (আর.আর.এন) পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এসএসসি পাস করেন। পরে এইচএসসি, চিকিৎসা বিদ্যায় গ্রাজুয়েশন, পোষ্ট গ্রাজুয়েশন, বিসিএস চাকরি সব মিলিয়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। লেখকের ‘মেজোকুমার: এক সন্ন্যাসী রাজা’, ‘মধ্যরাতের অভিযান’, ‘জোছনায় নীল আকাশ’, ‘খেদু মিয়া’ ও ‘দূরবীনে ব্যাকবেঞ্চার’ নামের ৫টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। অসীম হিমেল বলেন, ‘মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা’ ছিল আমার তৃতীয় উপন্যাস। এই উপন্যাসটি কাকলী প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বই প্রকাশিত হওয়ার সময় আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এই উপন্যাস বিক্রির সম্পূর্ণ লভ্যাংশ সামাজিক কাজে দান কররো। তাই আমি শিকড়ের টানে আমার দূরন্ত কিশোর পার করে আসা স্কুলের ১৫ জন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি দিলাম। তবে ভবিষ্যতে এ শিক্ষা প্রসারে এ ধরণের উদ্যোড় অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। কালীগঞ্জ আর.আর.এন পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে.এম নুরুল ইসলাম আল-মোশারফ ইবনে কাদের বলেন, আমাদের সমাজে মানুষ উঁচুতে চলে গেলে নিচের খবর রাখে না। তবে সেই ক্ষেত্রে লেখক অসীম হিমেলের উদ্যোগ নিঃন্দেহে ভিন্ন। তিনি শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে নিজের সাবেক বিদ্যালয়কেই বেছে নিয়েছেন। তার এ শিক্ষা বৃত্তি স্থানীয় শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি মনে করেন।