শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ধনবাড়ীতে আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে শুরু প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্ত যুদ্ধ দিবস পালিত মাধবদীতে জ্যান্ত কই মাছ গলায় ঢুকে কৃষকের মৃত্যু বদলগাছীতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী কালীগঞ্জে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা লতিফ মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে ভ্যানচালককে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন বরিশালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন হাতিয়ায় দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার ক্যাম্পাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত স্মৃতি কর্ণার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলামের পক্ষে ছাত্রলীগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

সদ্য মরে যাওয়া দেশের একমাত্র আফ্রিকান টিকওক গাছের নমুনা সংগ্রহ করলো বন গবেষণা ইনস্টিটিউট

এহসান বিন মুজাহির (শ্রীমঙ্গল) মৌলভীবাজার
  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সদ্য মরে যাওয়া আফ্রিকান টিকওক গাছটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা। গতকাল দিনভর তাঁরা গাছটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর নমুনা সংগ্রহ করেন। গবেষক দলে ছিলেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বনরক্ষণ বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান ও মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা আবদুল রাশেদ মোল্লা। এর আগে গোড়ায় পচন ধরে গত সপ্তাহে গাছটি মারা যায়। লাউয়াছড়ার ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে বিরল ওই গাছ উদ্যানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। গবেষণা কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, উদ্যানে থাকা একমাত্র আফ্রিকান টিকওকগাছটির মারা যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় তাঁরা গাছটি কী কারণে মারা গেছে, তা জানতে ও নমুনা সংগ্রহের জন্য আসেন। গাছটি মারা যাওয়ার কারণ কোনো রোগ, পোকা, মাইক্রো–অর্গানিজম বা মৃত্তিকাজনিত কোনো সমস্যা হতে পারে। তাঁরা গাছটির গোড়ার মাটি, মাটির নিচের অংশের মরা শিকড়, কা-ের ওপরের অংশের মরা ছালবাকল বিভিন্ন উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো তাঁদের প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণ করা হবে। গবেষক দলের সঙ্গে আসা মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা বলেন, আফ্রিকান টিকওক দেশের বিরল প্রজাতির একটি গাছ। গাছের জীবন রয়েছে। তার আয়ুষ্কালের বিষয়ও রয়েছে। এমনও তো হতে পারে, গাছটির আয়ু ফুরিয়ে গেছে। গাছটির নিচের খাবার সংগ্রহের রুটগুলো পচে গেছে, নিচের অংশের মাটি খুঁড়ে তাই তাঁরা দেখেছেন। এ জন্য গাছটি খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক রফিকুল হায়দার বলেন, এই গাছের গোড়ায় বছরখানেক আগে মাটি দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মাটির সঙ্গে আসা কোনো জীবাণুর কারণে গাছটি মারা গেছে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা গত বছর ও এ বছরে গাছটি থেকে নমুনা নিয়ে গিয়েছিলেন। এগুলো তাঁদের কাছে সংরক্ষিত আছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন টিস্যু কালচার ও অন্য মাধ্যমে গাছের বংশবৃদ্ধির। যদি ১০টি চারাও বেড়ে ওঠে, তাহলে একটি বিদেশি গাছ হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com