দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো স্বাস্থ্যসেবা গ্রাম পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্বাস্থ্য সেবাদানকারীরা তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করছেন। তাঁরা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিরা এই স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র পরিচালনায় অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজননস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনাসেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন কাজ করছে। পল্লী এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এমনই অবদান রাখছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের কাশাঁরা কমিউনিটি ক্লিনিক। ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সরোজমিনে উপাদিক কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী মোসাঃ সামছুনাহার এক এক করে সিরিয়ালে রোগী দেখছেন এবং ওষুধ দিচ্ছেন। এবং জটিল ও কঠিন রোগীদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। রোগী দেখার একফাকে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সামছুনাহারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এলাকার নোয়াবআলী ভূঁইয়া ও মনোয়ারা বেগম ২০২১ সালে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে সম্পত্তি দান করেন। এবং সে বছরই কমিউনিটি ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ঐ বছরই তার কার্যক্রম শুরু হয়। সামছুনাহার বলেন, এই কমিউনিটি ক্লিনিকটি তাকে দিয়েই চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। তিনি বলেন, এই কমিউনিটি ক্লিনিকে জ্বর, সর্দি-কাশি, পাতলা পায়খানা, এবং গর্ভপাতজনিত মহিলাদের পি এন সি সেবা, নবজাত শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা সহ আরো কিছু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এবং জটিল এবং কঠিন রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। এ কমিউনিটি ক্লিনিকে দৈনিক তিনি ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করে থাকেন। তিনি আরো বলেন অ্যালার্জিজনিত ঔষধের চাহিদা বেশি। তাই এর সাপ্লাই বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমাদের চাকরিটা রাজস্বখাতে নিলে আমরা এই কাজে আরো বেশি উৎসাহিত হতে পারতাম।এছাড়া সেই প্রথম যে বেতন ধরা হয়েছে আমরা এখনো সেই বেতনে কাজ করছি। তাই বেতন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল মান্নান ভূঁইয়া হোসেন(৮০) দাতা সদস্য মোতালেব ভূঁইয়া(৬৫) আব্দুল লতিফ(৭৭) মাজেদ(৭০) মনির(৫০) পজিলত(৬০) জানান এই কমিউনিটি ক্লিনিকটি এখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে আমরা বিনামূল্যে বিভিন্ন রোগের ওষুধ নিয়ে উপকার পাচ্ছি। আমাদের পল্লী এলাকার অসহায় মানুষদের ব্যাপক উপকার করে যাচ্ছে এই কমিউনিটি ক্লিনিক।